হাতে আর মাত্র ১৫ দিন সময়।

 হাতে আর মাত্র ১৫ দিন সময়।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। হাতে আর মাত্র ১৫ দিন সময়। তারপরেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি জায়গায় নামবে চন্দ্রযান। তার আগে রবিবার গভীর রাতে চাঁদের কক্ষপথে আসতেই চাঁদের ছবি তোলার কাজ শুরু করে দিল।মহাকাশযানটি। তাই নিয়ে ‘দৈনিক সংবাদ’ এর মুখোমুখি ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।

*ইসরোর একাধিক পূর্ববর্তী মিশনে চাঁদে পৌঁছতে চারদিন লেগেছিল। কিন্তু ইসরোর এবার লাগছে ৪০ দিন। কেন এত দেরি?
এর মূলে রয়েছে মহাকাশ যানের গতিপথ এবং লঞ্চ ভেহিকলের সীমাবদ্ধতা। অ্যাপোলো-১১ সহ সবক’টি অ্যাপোলো মিশনে সরাসরি গতিপথ ব্যবহার করেছিল যাকে মহাকাশ বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘ট্রান্সলুনার ইনজেকশন’। শক্তিশালী স্যাটার্ন-৫ মহাকাশযান অ্যাপোলো এয়ারক্রাফটদের পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছিল এবং সেখান থেকে একটি ইঞ্জিনের জ্বলনের সাহায্যে তাকে সরাসরি চাঁদের অভিমুখে পৌঁছে দেয়। এই উপায়ে কয়েকদিনেই চাঁদে পৌঁছে যায় নাসার যান। কিন্তু চন্দ্রযান-৩-এর গতিপথ অন্যরকম। ইসরোর জিওসিনক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকল মার্ক-৩ স্যাটার্ন-৫-এর মতো শক্তিশালী নয়, তার পেলোড ক্ষমতাও কম। সেই সীমাবদ্ধতায় চন্দ্রযান-৩-কে ক্রমান্বয়িক গতিপথে ছাড়া হয়েছে। প্রথমে পৃথিবীকে একাধিকবার প্রদক্ষিণ করে এবং একাধিক ইঞ্জিনের জ্বলনের সাহায্যে তার গতিবেগ বাড়ানো হয়েছে এবং চাঁদের অভিমুখে পাঠানো হয়েছে। এই পদ্ধতিতে লঞ্চ ভেহিকল কম শক্তিশালী হলেও ক্ষতি নেই। *সফট ল্যান্ডিং নিয়ে আপনারা এখন খুব বেশি চিন্তিত। চাঁদের পৃষ্ঠে নামার পর কিভাবে কাজ করবে বিক্রম?সফল সফট ল্যান্ডিংয়ের প্রায় চার ঘণ্টা পর, রোভার প্রজ্ঞান ল্যান্ডার বিক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। বিক্রম এবং প্রজ্ঞান উভয়ই তখন চাঁদের পৃষ্ঠে সিটু পরীক্ষা চালাবে। ইন-সিটু
পরীক্ষাগুলি পৃথিবীতে নমুনা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন ছাড়াই সরাসরি চাঁদের পৃষ্ঠে পরিচালিত পরীক্ষা এবং বিশ্লেষণগুলিকে চালিয়ে যাবে।এই পরীক্ষাগুলি চাঁদের পরিবেশ এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক পরিমাপ সম্পর্কিত মূল্যবান তথ্য প্রদান করবে।
বারবার আপনাদের তরফে চন্দ্রযানের হেলথ রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে। কেমন দেখলেন চন্দ্রযানকে?
বিষয়টা অনেকটা মানুষের স্বাস্থ্যের মত। অপনি যেমন মাস চার-ছয়েকের জন্য কোথাও ঘুরতে যান তখন যেমন আপনি আপনার হাউজ ফিজিশয়নের সঙ্গে কথা বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এটাও সেরকম। এখনও পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাকই রয়েছে।২৩ অগাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের আগে পর্যন্ত একাধিক কৌশল প্রয়োগ করা হবে। স্যাটেলাইটের স্বাস্থ্য ভাল রয়েছে। রবিবার গভীর রাত থেকে কক্ষপথ কমিয়ে আনার পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
এই প্রথম চন্দ্রযান-৩ চাঁদের ছবি প্রকাশ করল। সেই ছবির ব্যাখ্যা কিভাবে দেবেন?চাঁদের ভূপৃষ্ঠ জুড়ে রয়েছে একাধিক ছোট-বড় গর্ত। কিছু গর্ত আকারে ছোট হলেও অগভীর নয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই গর্তের ভিতরটা অন্ধকার। চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। সূর্যের আলোতেই যে চাঁদ আলোকিত সেটা আমরা সবাই জানি। রাতের আকাশে খালি চোখে চাঁদের দিকে তাকালে আলোর মাঝেও দেখা যায় কালো-কালো দাগ। ভৌগলিক ভাষায় এগুলিকে বলে ‘চাঁদের কলঙ্ক’। চাঁদে গর্ত রয়েছে এবং সেগুলি কালো দাগ হিসেবে আমাদের চোখে ধরা পড়ে। ইসরোর চন্দ্রযান এবার সেই গর্তের ছবি এবার সামনে আনল।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.