সরকারী কোচিং সেন্টারগুলির কাজকর্ম নিয়ে কঠোর হচ্ছে দপ্তর।
অনলাইন প্রতিনিধি :- ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টারগুলো পরিচালনা নিয়ে এবার কঠোর হতে। চলেছে রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তর। কোচিং সেন্টারগুলোতে কিছু সংখ্যক পিআই ঠিকভাবে কাজ করছে না এ ধরনের অভিযোগ পেয়ে এবার ক্রীড়া দপ্তর নড়েচড়ে বসেছে। যে সকল পিআই কোচিং সেন্টারগুলোতে ঠিকভাবে কাজ করছে না বা কাজে ফাঁকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে ক্রীড়া দপ্তর। গত দুদিন আগে। ক্রীড়া দপ্তরের তরফে একচল্লিশটি ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টার সম্পর্কিত এক কঠোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে ক্রীড়া দপ্তরের সদর দপ্তরের অফিসার থেকে শুরু করে জেলা ও মহকুমাস্তরের অফিসারদের রাজ্যের ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টারগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণের কাজকর্ম ঠিকঠাকভাবে চলছে কি না এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দপ্তরের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ক্রীড়া অধিকর্তার ওই নির্দেশ জারির পর এখন দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের অফিসাররা রাজ্যের বিশেষ একচল্লিশটি কোচিং সেন্টার পরিদর্শনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এখন থেকে অফিসাররা নিয়মিত কোচিং সেন্টারগুলোতে ভিজিট করবেন এবং সেখানকার কাজকর্ম ও সমস্যাগুলো সম্পর্কে দপ্তরে রিপোর্ট পেশ করবেন।জানা গেছে, দপ্তরের তরফে ওই নির্দেশিকা জারি হবার পর অফিসার থেকে শুরু করে পিআই সকলে সতর্ক হয়ে গেছেন। কারণ কারোর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া গেলে এবার আর রেহাই নেই। দপ্তরের কাছে অভিযোগ ছিল যে, একচল্লিশটি যে ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টার রয়েছে সেখানে কর্মরত একাংশ পিআই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। অভিযোগ, এমন অনেক পিআই রয়েছেন যারা সঠিক সময় কোচিং সেন্টারগুলোতে যাচ্ছেন না এবং ছেলেমেয়েদের ঠিকভাবে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন না। অনেকেই আবার দেরি করে সেন্টারে যাচ্ছেন আবার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বেরিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি রেজিস্টার মেনটেন করছেন না। এ ধরনের বহু অভিযোগ রয়েছে দপ্তরের কাছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে ক্রীড়া দপ্তরকে এবার কোচিং সেন্টারগুলো নিয়ে কঠোর হতে হচ্ছে। তবে অনেকের বক্তব্য যে, এক্ষেত্রে শুধু পিআইদের উপর দোষ চাপালেই হবে না, এর জন্য দপ্তরের অফিসাররাও অনেকটা ক্ষেত্রে দায়ী। এর মধ্যে ক্রীড়া দপ্তরেরও যথেষ্ট দুর্বলতা রয়েছে। কেননা, কোচিং সেন্টারগুলো নিয়ে শুরু থেকেই ক্রীড়া দপ্তর উদাসীন। কোচিং সেন্টারগুলো পরিচালনা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারছে না ক্রীড়া দপ্তর। রাজ্যে দুই শতাধিক কোচিং সেন্টার চালু করার দীর্ঘ সময় পরেও মনিটরিং কমিটি গঠন করতে পারেনি দপ্তর। এমনিতেই অফিসার ও সিনিয়র পিআইদের কোচিং সেন্টারগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই পরিস্থিতিতে একটা সময় দপ্তরকে বাধ্য হয়ে দুই শতাধিক কোচিং সেন্টার থেকে একচল্লিশটি ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টার বাছাই করতে হয়েছে। জানা গেছে বিশেষ বাছাই করা একচল্লিশটি কোচিং সেন্টার রেখে বাকি কোচিং সেন্টারগুলো খুব দ্রুত বন্ধ করতে যাচ্ছে ক্রীড়া দপ্তর।