সোনা দিয়ে বালুকণাসম তেরঙ্গা তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড ইকবালের।

 সোনা দিয়ে বালুকণাসম তেরঙ্গা তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড ইকবালের।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বালির কণার থেকেও সূক্ষ্ম, পৃথিবীর সবথেকে ক্ষুদ্র জাতীয় পতাকা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রাজস্থানের উদয়পুরের শিল্পী তথা চিকিৎসক ইকবাল সক্কা। এখনও পর্যন্ত একশো’টি বিশ্ব রেকর্ডের মালিক এই শিল্পী। দেশের ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের কথা মাথায় রেখেই এমন উদ্যোগ
নিয়েছেন ইকবাল।’ সোনা থেকে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র বস্তু তৈরি করা কার্যত নেশা ইকবালের। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে শিল্পী বালির দানার মতো ছোট্ট একটি জাতীয় পতাকা তৈরি করেছেন।তিনি বলেছেন,’দেশ ৭৭তম স্বাধীনতা উদযাপন করবে। অমৃত মহোৎসব চলছে। তাই জাতীয় পতাকা তৈরির ভাবনা মাথায় আসে।এটা এতটাই সূক্ষ্ম যে, এর ওজনও রেকর্ড করা যাচ্ছে না। এই পতাকাটি শুধুমাত্র লেন্সের সাহায্যে দেখা যায়। আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র জাতীয় পতাকাটি জাদুঘরে রাখার আবেদন জানিয়েছি।এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছি।’ একটানা আঠারো ঘন্টা ধরে এই পতাকা তৈরি হয়েছে বলে জানালেন ইকবাল। তবে প্রথমবারেই যে তিনি সফল হয়েছেন এমনটা নয়। দেশের অমৃত মহোৎসবের সূচনার আগে থেকেই এই ভিন্ন ধরনের চিন্তার সূত্রপাত। গত এক বছরের বেশি সময়ে বারবার চেষ্টা করেও যে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন তা নিজেই স্বীকার করেছেন ইকবাল।চার দশকের বেশি সময় ধরে এই ধরনের শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত। এমন সুক্ষ্ম সব জিনিস তৈরি করেন, যা একমাত্র লেন্সের সাহায্যেই দেখা সম্ভব। এমনকী, এই কাজের জন্য তিনি এক চোখের জ্যোতিও হারিয়েছিলেন। ইকবাল নিজেই বলেছেন; ‘এত সূক্ষ্ম কাজ করার ফলে, আমি এক চোখে দেখতে পারছিলাম না। তবে চিকিৎসার পর আবার কাজ শুরু করেছিন। তিনি এখনো পর্যন্ত একশোটির বেশি সর্বশ্রেষ্ঠ মাইক্রো-আর্টিফ্যাক্ট তৈরি করেছেন, যার মধ্যে কুড়িটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।সোনার ওপর যে কোন ধরনের আর্টিফ্যাক্ট তৈরির আগে তাকে স্টেনসিলে একে রূপ দেন তিনি। সেখানেই অঙ্কন শিল্পে যাবতীয় ভুল-ত্রুটির সংশোধনের সুযোগ থাকে। কিন্তু হলুদ ধাতুর ওপর যখন আকতে শুরু করেন। তখন আর ত্রুটি সংশোধনর কোনও জায়গা থাকে না। সব কাজ যে একদফাতেই সফল হয়ে যায় এমনটা নয়, বহুক্ষেত্রেই ব্যর্থতাই আশার আলো জাগায়।সম্প্রতি ইকবাল ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট হ্যান্ডব্যাগ তৈরি করেছিলেন। এই ছোট ব্যাগের দৈর্ঘ্য ছিল ০.০২ ইঞ্চি। সেটি চিনির দানার চেয়েও ছোট। এছাড়াও তিনি অযোধ্যায় নির্মিত রামের মন্দিরের জন্য তিনটি আণুবীক্ষণিক নিদর্শন তৈরি করেছিলেন। যার মধ্যে সোনার ইট, ঘণ্টা এবং দু’টি স্ট্যান্ড রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট সোনা-রূপার বইও ইকবাল বানিয়েছেন। সর্বনিম্ন ওজনের সবচেয়ে ছোট সোনার চেইন তৈরি করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন ইকবাল। ইতিমধ্যে অযোধ্যার রামমন্দিরের আদলে তৈরি সোনার ইট নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন বিচারকরা। তার মধ্যেই দেশের ক্ষুদ্রতম জাতীয় পতাকা আন্তর্জাতিক স্তরে রেকর্ড গড়ে ফেলল।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.