সম্পর্কে অবনতি: দায়ী দুই হরমোন, দাবি গবেষকদের।

 সম্পর্কে অবনতি: দায়ী দুই হরমোন, দাবি গবেষকদের।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

আজ দু’জনার দু’টি পথ দু’টি দিকে গেছে বেঁকে।এ গানের কথার মানে বোঝা যায়। নির্ভেজাল বিচ্ছেদের গান। কিন্তু যখন দৃশ্যত দুটি নারীপুরুষ সম্পর্কে থেকেও, অথবা বিবাহিত জীবনেও থেকেও, যদি কেউ একজন অন্যজনকে এড়িয়ে অন্য কোনও সম্পর্কে জড়ান, চলতি কথায় তাকে অনেকেই বলেন ‘চিটিং’। সিনেমা- গল্পে ত্রিকোণ সম্পর্ক বলে বহু যুগ ধরে একটি শব্দবন্ধ চালু রয়েছে। সম্পর্কে কখন, কোন অবস্থায় তৃতীয় ব্যক্তির আগমন ঘটে, তার নেপথ্যে কী ধরনের মনস্তত্ত্ব কাজ করে, তা নিয়ে অনেক দিন ধরে গবেষণা করছিলেন আমেরিকার দুই স্বনামধন্য শিক্ষায়তন হার্বার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। সেই গবেষণা থেকে সম্প্রতি যা উঠে এসেছে, এক কথায় তা চাঞ্চল্যকর।সম্পর্কে ‘চিটিং”-এর পিছনে পুরুষ বা নারীর মনস্তত্ত্ব নয়, কাজ করে দুষ্ট’ হরমোন। শরীরে এই দুই হরমোন নিঃসরণের আধিক্য থেকেই সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ঠকানোর ইচ্ছা বা প্রবণতা তৈরি হয়। অর্থাৎ, যাকে সচরাচর আমরা ‘পরকীয়া’ বলি, সেখানে মনের কোনও ভূমিকা নেই, সবটাই ব্রেনের কারসাজি।কারণ হরমোনের আঁতুড় হল মস্তিষ্ক। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও টেস্কাস ইউনিভার্সিটির গবেষকরা রীতিমতো গবেষণাগারে পরীক্ষা করে খুঁজে পেয়েছেন, আমাদের শরীরের দু’টি হরমোন ডোপামিন এবং ভ্যাসোপ্রেসিন সম্পর্কের ‘চিটিং’-এর পিছনে মূল দায়ী। এই দুই হরমোনকে গবেষকরা সম্পর্কের প্রশ্নে ‘দুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছেন। প্রসঙ্গত, ‘ম্যারিটাল অ্যান্ড ফ্যামিলি থেরাপি” নামের একটি জার্নাল এর আগেও ওই দুই ‘দুষ্টু’ হরমোনের কথা জানিয়েছেন। এখন দুই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ৫৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৪ শতাংশ মার্কিন মহিলারা জীবনে যে অন্তত একবার পার্টনারকে ঠকিয়ে অন্য কারও শয্যাসঙ্গী বা সঙ্গিনী হয়েছেন, তার পিছনে কাজ করেছে ডোপামিন ও ভ্যাসোপ্রেসিন হরমোন নিঃসরণের আধিক্য।এর আগে মনোবিদরা ব্যভিচারের কারণ হিসেবে বহু মানসিক ও পারিপার্শ্বিক কারণকে দায়ী করলেও বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রেমে পড়া হোক বা পরকীয়া, সবই আদতে পিটুইটারি গ্রন্থির খেলা। হরমোনের বেশি বা কমেই ‘চিটিং’ করার সাধ জাগে। গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডোপামিনের জন্য মোট ২০০ রকমের রিসেপটার জিন আছে। ডোপামিন মস্তিষ্কে যৌন তৃপ্তি তৈরি করে। যাদের শরীরে ডোপামিন রিসেপটর জিনের সংখ্যা যত বেশি, তাদের মধ্যে ব্যভিচারের প্রবণতাও তত বেশি। আবার ভ্যাসোপ্রেসিন নামের হরমোন চিটিং করার।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.