বিচারাধীন কয়েদির রহস্যজনক মৃত্যুতে বিশালগড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি
অনলাইন প্রতিনিধি :- বিচারাধীন কয়েদিন রহস্য মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য বিশালগড়ে। মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ হঠাৎই বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় এক আসামিকে নিয়ে আসে বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু মহকুমা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ওই আসামিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আসামির মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের মতে আসামির মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। গত জুলাই মাসের ১৪ তারিখ রাজধানীর ক্যাম্পেরবাজার নন্দীটিলায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল স্বামী বাবুল দাস (৪৩), পিতা হরিচন্দ্র দাস রাজধানীর এডিনগর থানায় ৪৯৮ ও১০২ ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা ও দায়রা আদালতের নির্দেশে বিশালগড়ের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জল হাজতে পাঠানো হয় বাবুল দাসকে। গত ৪৮ দিন যাবৎ তাকে জল হাজতে রেখেই মামলার শুনানি চলছিল। মঙ্গলবার হঠাৎ করেই বাবুল দাসের মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সংশোধনাগার সহ বিশালগড় হকুমা হাসপাতাল চত্বরে। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জানানো নয় সিঁড়ি থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবুল দাসের। তবে এই রহস্য মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাবুল দাসের পরিবার পরিজনরা। বাবুল দাসের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিশালগড় হাসপাতালে ছুটে আসেন তার আত্মীয় পরিজনরা। হাসপাতাল চত্বরেই জান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। মৃত বাবুল
দাসের ১৬ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। পরিবারের লোক প্রশ্ন তুলেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, সংশোধনাগারে কিছুই ঠিক চলছে না। যার বলি হতে হয়েছে বাবুল দাসকে। অন্যদিকে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত নিয়েও একপ্রস্থ টালবাহানা চলে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ না থাকায় বিশালগড় হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়নি মৃতদেহের। যদিও স্থানীয় মহকুমা প্রশাসন এব বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৃতদেহটি আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্তের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তবে বিচারাধীন অবস্থায় একজন কয়েদিন এই রহস্য মৃত্যুতে বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আঙুল তুলতে শুরু করেছে অনেকে। বিশালগড়ের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নেশার রমরমা এবং অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ বহু আগে থেকেই। এরই মধ্যে বিচারাধীন কয়েদির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে সংশোধনাগারের ভেতরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ।