সৌর অভিযানের আগে শ্রী ভেম্বটেশ্বর মন্দিরে পুজোর অর্ঘ্য নিয়ে ইসরোর প্রধান।
অনলাইন প্রতিনিধি :-উৎক্ষেপণের আগে মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।আদিত্য এল-১ উৎক্ষেপণের আগে সেই একই ছবি ধরা পড়ল।শুক্রবার, অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান ইসরোর বিজ্ঞানীদের একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিল আদিত্য এল-১-এর একটি মিনিয়েচার মডেল।আদিত্য এল-১ ভারতের প্রথম সৌর অভিযান। ইসরো জানিয়েছে ২ সেপ্টেম্বর, সকাল ১১ট ৫০ মিনিটে শ্রী হরিকোটার কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে আদিত্যকে।কদিন আগেই চন্দ্রযান-৩অভিযান সফল হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্যও সামনে এসেছে ইসরোর কাছে। বিশ্বের মধ্যে প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর ওই অঞ্চলে সফট ল্যান্ডিংয়ে সফল হয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সেই অভিযানের ক্ষেত্রেও উৎক্ষেপণের আগের দিন অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ইসরোর কর্তারা। চন্দ্রযানের একটি ছোট সংস্করণ নিয়ে পুজো দিয়েছিলেন তারা। চন্দ্রযান-৩ যাতে সব বিপদ কাটিয়ে চাঁদের মাটি
ছুঁতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই প্রার্থনা করেছিলেন ইসরোর কর্তারা।এবারও আদিত্য এল-১ উৎক্ষেপণের আগে মন্দিরে পুজো বিজ্ঞানীদের। এদিনই সাফল্য কামনায় পুজো দিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথও।অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতির চেঙ্গালাম্মা মন্দিরে পুজো দেন সোমনাথ। শনিবার সকাল ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে রওনা দেবে ভারতের সৌরযান আদিত্য এল-১।শুক্রবার থেকেই কাউন্টডাউন শুরু করল ইসরো। ‘সান অবজারভেটরি মিশন’টি শুরু হতে আর হাত গোনা কয়েক ঘণ্টা বাকি। প্রথমেই তো সূর্যের করোনা অঞ্চলে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। তাই বাইরে থেকে সূর্যের বায়ুমণ্ডলের বাইরের আবরণটির খোঁদ রাখবে সৌরযান আদিত্য এল-১। এই অভিযান থেকে সূর্যের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসবে বলে আশাবাদী ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে আদিত্য এল-১ মিশন প্রথম সৌর অভিযান। হ্যালো অরবিট পৃথিবী সূর্যের মধ্যে ল্যাগ্রাঞ্চ পয়েন্ট- ১-এ থাকবে ভারতের সৌরযান। এই অবস্থানের যে বিশেষত্ব রয়েছে তাহল; মহাকাশযান থাকলে, কোনওরকম বাধা ছাড়াই সর্বক্ষণ সূর্যকে দেখতে পারবে এই সৌরযান। আদিত্য-এল১ মহাকাশযানটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে করোনার প্রত্যন্ত অংশও নিঁখুত ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। পাশাপাশি সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ার অর্থাৎ সূর্যের আবহাওয়া পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য-এল১। এছাড়াও ‘সোলার উইন্ড’ বা সৌরবায়ু বিশ্লেষণ করাও এই সূর্য অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য। এই সৌরবায়ু মাঝেমধ্যেই পৃথিবীতে সমস্যা তৈরি করে। সাধারণ মানুষের কাছে এই সৌরবায়ু ‘অরোরা” নামে পরিচিত। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল সূর্যগ্রহণের সময়েও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ সূর্যকে নিরীক্ষণ করতে কোনও বাধাই থাকবে না। ফলে সূর্যে কী হয়ে চলেছে তার রিয়েল- টাইম অ্যাক্টিভিটি দেখা যাবে এই মহাকাশযানটি।