চলমান সিঁড়ি দ্রুত যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করার জোর দাবি।
অনলাইন প্রতিনিধি :-এ যেন সংরক্ষিত এলাকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলাচলের জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে থাকলেও এর কাছে যাওয়ার উপায় নেই। ঘিরে রাখা হয়েছে তারের বেড়া দিয়ে। ফলে যাত্রীদুর্ভোগ লাঘবের উপায় বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ঘটনাস্থল আগরতলা রেল স্টেশন। রাজ্যের প্রধান রেল স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম।এই প্ল্যাটফর্মে যাত্রী সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে চলমান সিঁড়ি। সাধারণভাবে এস্কালেটর হিসাবে পরিচিত যান্ত্রিক সিঁড়িটির নির্মাণ শেষ হয়েছে প্রায় পক্ষকাল আগে। এখন পর্যন্ত এটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি। একে যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার আশু সম্ভাবনা নেই বলে খবর। এ কারণে বয়স্ক, অসুস্থ যাত্রীদের দুর্ভোগ বহাল রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে শিশুদেরও। জানা গেছে, রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার নেতিবাচক মানবিকতার কারণে চলমান সিঁড়িটি উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না যাত্রীদের জন্য।প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে চলমান সিঁড়ি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়।সেই অনুসারে স্টেশনে প্ল্যাটফর্মে যান্ত্রিক সিঁড়িটি বসানোর কাজ শুরু হয় অন্তত বছরখানেক আগে। এর জন্য বরাত পায় জনসন নামের এক পরিচিত কোম্পানি। এই কোম্পানির তরফে চলমান সিঁড়ির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ আনা হয়। এ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি সহ পরিকাঠামো তৈরির নানা সরঞ্জাম দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয় আগরতলা স্টেশনে। স্টেশনের ডেমু ও সিক শেড সংলগ্ন এলাকায় খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় এ সবে জং ধরার আশঙ্কা দেখা দেয়। অভিযোগ ওঠে কাজে ঢিলেমির। প্রাপ্ত খবর অনুসারে পরে এর জন্য ভারতীয় রেল বোর্ড এবং উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে চাপ দেওয়া হয়।
অবশেষে এর কাজ শুরু হয়। নির্দিষ্ট সময় পর কাজ শেষও হয়ে গেছে। এরপর কেটে গেছে পক্ষকাল। অথচ চলমান সিঁড়িটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগের দেখা নেই। এর মূলে রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তার নেতিবাচক মানসিকতার পাশাপাশি প্রচারের সুযোগ হাতছাড়া না করার চিন্তাভাবনা কাজ করছে বলে খবর। এ কারণে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে চলমান সিঁড়িটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। উদ্বোধনী প্রচারের ফানুস ভালোভাবে উড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।এ নিয়ে নিত্যযাত্রী সহ কারও কোনও আপত্তি নেই। নিত্যযাত্রী এবং অন্যদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি করা হোক দ্রুত। কেননা এর জন্য কালক্ষেপ করার ফাকে যাত্রীদুর্ভোগ বাড়ছে ক্রমান্বয়ে। চলমান সিঁড়িটি রেলের যাত্রীসাধারণের জন্য খুলে দিয়ে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের জোর দাবি উঠেছে।