প্রবল প্রতাপশালী সিপিএম কি এখন ভয়ে গর্তে?
বামদূর্গ বলে পরিচিত রাজ্যের দুই বিধানসভা ধনপুর ও বক্সনগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএমের ঢাকি সহ বিসর্জনের পর এবার রাজ্যের বাম নেতৃত্বের গ্রহনযোগ্যতা নিয়েই বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে সবার আগে নাম উঠে এসেছে সিপি আই এম রাজ্য নেতৃত্ব জীতেন্দ্র চৌধুরী নাম। আরো স্পষ্ট করে বললে, ত্রিপুরায় সিপিএম দলকে যোগ্য নেতৃত্ব ও পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন জীতেন্দ্র বাবু। দলের উপর থেকে নীচে পর্যন্ত এখন এই নিয়েই জোর চর্চা চলছে। জীতেন্দ্র বাবু দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দেখা যাচ্ছে মুখে বলছেন একরকম, কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে অন্যটা। তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি ও গতিবিধি একরকম, আর বাস্তবে ঘটছে উল্টোটা। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মথার সমর্থন নিয়ে বহুকথা বলেছেন তিনি। ভোট পরাজয়ের পর নিজেদের ব্যর্থতার দায় চাপালেন তিপ্রামথার ঘাড়ে। বলেন তিপ্রামথা ভোট কাটার কারণেই বিজেপি পুনরায় রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে। অর্থাৎ বিজেপিকে রাজ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আনার কাজটি করেছে তিপ্রামথা। ছয়মাসের মধ্যেই রাজ্যে দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি কেন্দ্রই বামেদের ঘাঁটি বলা যায়। উপনির্বাচনের আগে জীতেন্দ্রবাবুরা তিপ্রামথা ও তাদের বন্ধুদল কংগ্রেসের সাথে দুই দফা বৈঠক করলেন। রাজ্যবাসী ধরেই নিয়েছিল উপনির্বাচনে শাসকদল বিজেপি কঠোর চ্যলেঞ্জের মধ্যে পড়বে। আলোচনার মধ্যেই আচমকা জীতেন্দ্রবাবুরা দুই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। মথা ও কংগ্রেস এতে কিছুটা অসন্তুষ্ট হলেও, শেষ পর্যন্ত তারা কেউই লড়াই করেনি। লড়াই হয়েছে একের বিরুদ্ধে এক। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল পুরোপুরি উল্টো। চ্যলেঞ্জ তো দূরের কথা, শাসকের বিরুদ্ধে নূন্যতম মোকাবিলাও গড়ে তুলতে পারেনি সিপিএম।কার্যত পালিয়ে গেছে সিপিএম দল। ফলাফল সকলের সামনে। প্রশ্ন উঠেছে, উপনির্বাচনে তো তিপ্রামথা ছিল না।তাহলে জয় হাসিল করতে পারলেন না কেন জীতেন বাবুরা? জানা গেছে ক্ষমিতা হারিয়ে মাত্র ছয়বছরে প্রবল প্রতাপশালী সিপিএম এখন ভয়ে গর্তে ঢুকে পড়েছে। নেতারা ব্যাস্ত আখের গোছাতে। শুধু তাই নয়, মেলারমাঠ সূত্রে খবর, গত ছয়বছরে দলের অন্দরে গোষ্ঠী বিবাদ এবং অশান্তি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, তারই বহিঃপ্রকাশ হয়েছে উপনির্বাচনের ফলাফলে। এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে ঘুড়ে দাঁড়াবে বামেরা? সেটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন?