মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
এগোচ্ছে লোকসভা ?
ভোট কি এগিয়ে আসছে? এমনিতেই আগামী এপ্রিল-মে মাসে দেশে লোকসভা ভোট হবার কথা। কিন্তু শোনা যাচ্ছে ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে মাসখানেক। অর্থাৎ মার্চ মাসে দেশে লোকসভা ভোট শুরু হতে পারে। চলবে এপ্রিল পর্যন্ত। বিজেপি এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সাফল্য নিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক জি ২০ বৈঠকের সাফল্য, চন্দ্রযানের সাফল্য ইত্যাদিকে পুঁজি করে এগোতে চাইছে বিজেপি শিবির। বিশেষ করে জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন দারুণ সফল হয়েছে দাবি করে মোদিকে বিশ্বগুরুর তকমা দিয়ে বিজেপি গোটা দেশজুড়েই প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এর উপর রয়েছে সাম্প্রতিক চন্দ্রায়ন-২ নিয়েও ভারতের সফলতার কীর্তিগাথা। এ নিয়ে বিজেপি শিবির বেশ উচ্ছ্বসিত। এরই মধ্যে ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে বিজেপি শিবির । তবে ভেতরে ভেতরে এ অস্বস্তি থাকলেও বাইরে তা দেখাতে চাইছে না শাসক শিবির। তাই ইন্ডিয়া জোটকে কড়া হাতে মোকাবিলা করতে চালকের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি ইন্ডিয়া জোটের মুণ্ডপাত করেই ছাড়ছেন।
এছাড়াও রয়েছে চলতি বছরেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এর প্রচারও, ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এক সময় মনে করা গেছিল যে, লোকসভা-বিধানসভা ভোট এক সময়ে করা হতে পারে। সে প্রচারও ইতোমধ্যেই স্তিমিত হয়ে গেছে। ফলে আপাতত মনে করা হচ্ছে ডিসেম্বরে পাঁচ রাজ্যের ভোট করিয়ে মার্চ মাসের দিকে লোকসভা ভোট করিয়ে নেবে কেন্দ্রের শাসক দল। এখন পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে আভাস এরকমই।জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রচারেই থেমে থাকতে রাজি নয় মোদি। এবার চেষ্টা চলছে জানুয়ারী মাসে আরও একটি সম্মেলন আয়োজনের। সেটি হচ্ছে কোয়াড সম্মেলন। আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত এই চার দেশের সম্মেলন কোয়াড এবার বসবে ভারতে। দিল্লী ভাবনাচিন্তা করছে তিন দেশের রাষ্ট্রনেতাকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অতিথি করে এনে বাজার গরম করার এবং আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় তা প্রচারে নিয়ে যাওয়া। সেই মতো একটা মোটামুটি দিন ঠিক করা হয়েছিলো ২৫ জানুয়ারী। এবং শুধু তাই নয়, জি ২০-এর মতো এই সম্মেলনকে দিল্লীর বাইরে করারও ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ২৬ জানুয়ারী অস্ট্রেলিয়ারও জাতীয় দিবস। ওই দিনে সেই রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনেতাকে না-ও পাওয়া যেতে পারে। তেমনি বাইডেনও সে সময় ভারতে আসতে পারবেন কিনা এরও ঠিক নেই। তবে ভারত চাইছে জানুয়ারীতেই কোয়াড সম্মেলন করে নিতে। এছাড়া নভেম্বরে জি ২০ দেশগুলির স্পিকারদের একটি সম্মেলন করবে ভারত।অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের এবারের অন্যতম বড় ইস্যু হতে চলেছে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। বিজেপি চাইছে জানুয়ারীতেই রামমন্দিরের উদ্বোধন করে নিতে। সম্প্রতি অযোধ্যায় রামমন্দিরের ট্রাস্ট একটি বৈঠক করে। এই বৈঠকেই ঠিক হয় যে, জানুয়ারী ২১- ২৪ তারিখের মধ্যে রামমন্দির উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হতে পারে। দিল্লীতে যখন জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন চলছিল সে সময়ই রামমন্দির ট্রাস্ট বৈঠকে বসে রামমন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলে। রামমন্দিরকে নিয়ে তাই লোকসভায় এবার জোরদার প্রচার করতে চাইছে বিজেপি। তাই জানুয়ারী মাসে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে যে হাওয়া তৈরি হবে তা নিয়ে গোটা ফেব্রুয়ারী মাসজুড়ে দেশব্যাপী প্রচার চালানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। এরপরই মার্চ মাসে লোকসভা নির্বাচনে যেতে চায় বিজেপি। অর্থাৎ জি ২০ থেকে চন্দ্রায়ন-২। রামমন্দির নির্মাণ থেকে কোয়াড সম্মেলন সবটাই প্রচার করে ভোটে যেতে চাইছে বিজেপি। তবে এই প্রচার কতখানি বেগ দেবে বিরোধীদের তা নির্ভর করে এর আগে পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফল কী হয় এর উপর। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামে বিধানসভা ভোট হবার কথা ডিসেম্বরে। তবে এখনও ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। সবটাই নির্ভর করছে রাজ্যগুলির ভোটের ফলাফলের উপর। এরপরই লোকসভা ভোটের ডঙ্কা বেজে যাবে।