চাঁদে জল তৈরি করতে পারবে ইলেকট্রন, তথ্য দিলো চন্দ্রযান।

 চাঁদে জল তৈরি করতে পারবে ইলেকট্রন, তথ্য দিলো চন্দ্রযান।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-চন্দ্রযান- ১ মিশনের রিমোট সেন্সিং ডেটা বিশ্লেষণ করে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন পৃথিবী থেকে উচ্চ শক্তির ইলেকট্রন চাঁদে জল তৈরি করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানোয়ার হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএইচ) গবেষকদের নেতৃত্বে দলটি আবিষ্কার করেছে যে পৃথিবীর প্লাজমা স্তরে থাকা ইলেকট্রনগুলি চাঁদের পৃষ্ঠে শিলা এবং খনিজগুলো ভেঙে যাওয়া কিংবা দ্রবীভূত করা অথবা আবহাওয়া প্রক্রিয়াগুলোতে অবদান রাখছে। এই সংক্রান্ত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে নেচার অ্যাস্ট্রোনমি নামক জার্নালে। ওই গবেষণা অনুসারে চাঁদের পৃষ্ঠে জল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকতে পারে ইলেকট্রনগুলো। চাঁদে জলের পরিধি এবং পরিমাণ জানাটা জলের তৈরি হওয়া এবং বিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে।বিজ্ঞানীদের মতে জল খুব ভারী এবং এটি মহাকাশে বহন করাটা কঠিন এবং ব্যয়বহুল। যদি চাঁদে জল থাকে তবে একটি সম্ভাব্য জলাধার রয়েছে যা পান করার জন্য এমনকী হাইড্রোজেন কিংবা অক্সিজেন তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া রকেট প্রপেলান্ট হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা শ্বাস নিতেও অক্সিজেনের অভাব হবে না। অর্থাৎ র যে ভবিষ্যতে চাঁদে কোনও অভিযানের ক্ষেত্রে জল খুঁজে পাওয়াটা একটি বড় পাওনা হবে গোটা মানবজাতির জন্য। ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-১ চাঁদে জলের অণু আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৮ সালে উৎক্ষেপিত এই মিশনটি হলো ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযান। চন্দ্রযানের পাঠানো তথ্য অনুসারে গবেষক দলটি পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র অতিক্রম করার সময় চন্দ্রপৃষ্ঠে আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি পরিবর্তনের ব্যাপারটিও লক্ষ্য করেছে। এই
পৃষ্ঠ দেশটি এমন একটি অংশ যা সৌর বায়ু থেকে চাঁদকে রক্ষা করছে। তবে সূর্যের আলোর ফোটন থেকে নয়। বিজ্ঞানীদের অভিমত হলো সৌরবায়ু উচ্চ শক্তিসম্পন্ন প্রোটন কণার সমন্বয়ে গঠিত। ওই সৌরবায়ু আছড়ে পড়ে চাঁদের পৃষ্ঠে। আর তাতেই জল তৈরির সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে। মহাকাশ আবহাওয়া এবং সূর্যের বিকিরণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার। একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার। সৌরঝড় ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে আঘাত করে যার কারণে এটির আকৃতি পরিবর্তিত হয়। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সৌর বায়ুর চাপ পৃথিবীর দিবাভাগে ক্ষেত্রটিকে সংকোচিত করে এবং রাতের দিকে ক্ষেত্রটিকে লম্বা লেজে প্রসারিত করে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.