জেআরবিটির নিয়োগ তালিকায় লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে: সিপিএম।

 জেআরবিটির নিয়োগ তালিকায় লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে: সিপিএম।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের জেআরবিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললো সিপিএম। বেকার বিক্ষোভের চাপে চার বছর পর গ্রুপ সি পদের ফলাফল প্রকাশ ঠিকই করা হল। তবে কেন গ্রুপ সি পদের ২৪১০টি পদের মধ্যে মাত্র ১৯৮০ জনের মেধাতালিকা প্রকাশিত করেছে রাজ্য সরকার। কেন প্রকাশিত ১৯৮০ জন নির্বাচিত গ্রুপ সি চাকরির প্রার্থীদের নামের সাথে তাদের ঠিকানা এবং জন্মের তারিখ নেই।এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। কেন গ্রুপ সি পদে বাকি ৪৩০টি পদের জন্য চাকরি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার?এ নিয়েও গভীর সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। সিপিএমের অভিযোগ,মোটা অংকের স্বার্থে বহি:রাজ্যের বেকারদের রাজ্যে এনে জেআরবিটির মাধ্যমে সরকারী চাকরি দিয়েছে বিজেপি সরকার।


বিজেপি সরকারের চাপে চাকরি প্রাপক প্রার্থীদের ঠিকানা ঘোষণা করছে না জেআরবিটি কর্তৃপক্ষ।আজ মেলারমাঠ রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মানিক দে, নারায়ণ কর, নরেশ জমাতিয়া জানান রাজ্যের যেসব যুবক যুবতীরা গ্রুপ সি পদে চাকরি পাচ্ছেন তাদের সকলকে সিপিএম পার্টি অভিনন্দন জানাচ্ছে।তবে এই গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগের মাধ্যমে যদি একজন বহি:রাজ্যের বেকার ও চাকরি পায়। তবে তা মেনে নেবে না সিপিএম এবং রাজ্যের বেকাররা।বিজেপি সরকার বলছে রাজ্যে নাকি ৪৩০টি গ্রুপ সি পদে যোগ্য প্রার্থী নেই। এসব বলে রাজ্যের বেকারদের অপমানিত করছে বিজেপি সরকার। রাজ্যের বেকাররা দেশ বিদেশ গিয়ে চাকরি করে রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করছে। আর বিজেপি সরকার বলছে যোগ্য প্রার্থী নেই। এসব বলে পিছনের দরজা দিয়ে ৪৩০টি পদে চাকরি প্রদানের পরিকল্পনা হচ্ছে। বিজেপি সরকারের প্রচার ছিল জেআরবিটি নিয়োগের মাধ্যমে ২০০০ জন ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি হবে। এখন কি বলবেন? বছরে ৫০ হাজার সহ পাঁচ বছরে ২ লক্ষ ২৫ হাজার রাজ্যের বেকারের সরকারী চাকরির প্রতিশ্রুতি ছিল। এখন ৬ বছর হচ্ছে।আর বিজেপি এনে রাজ্যে বহি:রাজ্যের বেকারদের সরকারী চাকরি দিচ্ছে।গ্রুপ ডির ২৫০০টি পদের নিয়োগ এখনও অধরা।সিপিএমের অভিযোগ, জেআরবিটি আয়োজিত গ্রুপ সি পদের প্রকাশিত ফলাফলে ১৯৮০ বেকার উত্তীর্ণ হন। তাদের সকলকে এলডিসি, এগ্রি অ্যাসিস্টেন্ট সহ অন্যান্য গ্রুপ সি পদে অফার প্রদানের জন্য রাজ্য সরকারের আবেদন করেছে জেআরবিটি। তবে গ্রুপ সির শূন্য পদ ছিল ২৪১০টি। তবে কেন রাজ্য সরকার বাকি ৪৩০টি পদের জন্য কোনও বেকারের নাম ঘোষণা করেনি। তবে ১৯৮০ জনের নাম থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই তালিকায় বহি:রাজ্যের বেকারও রয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরুর সময়ে পিআরটিসি বাধ্যতামূলক ছিল না। ফলে বহি:রাজ্যের বেকাররা লিখিত পরীক্ষায় বসার সুযোগ পায় । ফলাফল প্রকাশের ঠিক আগ মুহূর্তে এক নির্দেশে বলা যাদের রাজ্যের পিআরটিসি আছে, তাদের চাকরিতে সুযোগ প্রদান হবে। এখন ফলাফল প্রকাশ করে রাজ্য সরকার নীরবদর্শক। এক মন্ত্রী অবশ্যই জেআরবিটির নিয়োগ নিয়ে নিজের মন্তব্য দিতে ব্যস্ত।তার বক্তব্য দেখে রাজ্যবাসী হাসছেন। এদিকে, চার বছর আগে যেসব বয়স উত্তীর্ণ বেকারের বয়স ছিল প্রায় ৪৫ থেকে ৪৮ বছরের মধ্যে। এখন তাদের বয়স এসে ঠেকেছে ৫০ থেকে ৫২ বছর। এরপর আবার তারা গ্রুপ সি পদে চাকরির প্রথম দিন থেকে নিয়মিত বেতনক্রম পাচ্ছে না। আগামী পাঁচ বছর তাদের ফিক্সড পে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করতে হবে। তবে সহজেই অনুমেয় সরকারের ব্যর্থতার জন্য ফলাফল প্রকাশ দেরিতে হওয়ার খেসারত দিবেন বয়স উত্তীর্ণ বেকাররা।উল্লেখ্য, গ্রুপ সি ২৪১০টি পদের মধ্যে ছিল এলডিসি ১৫০০টি, জুনিয়র মাল্টিটাস্কিং ক্লার্ক ২০১টি, অ্যাগ্রি অ্যাসিস্ট্যান্ট ২৩৬টি, পাম্প অপারেটর ২৩৬টি পদ। গ্রুপ ডি পদ ছিল ২৫০০টি। ২০২০ সালে প্রথম এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.