শহরে আর ঢুকবে না বড় মাছের গাড়ি!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নে খুব শীঘ্রই যুক্ত হচ্ছে আরও একটি পালক।
এখন থেকে বহিঃরাজ্য থেকে আসা বড় মাছের লড়ি গুলি আর শহরে অর্থাৎ মহারাজগঞ্জ বাজার এবং বটতলা বাজার এলাকায় ঢুকবে না। আগমাী ১২ অক্টোবর শহর সংলগ্ন নাগিছড়ায় উদ্ভোদন হতে যাচ্ছে নব নির্মিত আধুনিক ফিশ ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ড। শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে বাজার এলাকা সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও নির্মল রাখতে, রাজ্য সরকার ও পুর নিগম যৌথভাবে নাগিছড়ায় গড়ে তুলেছে এই “ফিশ ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ড”।
পুর নিগমের সিদ্ধান্তক্রমে এখন থেকে বটতলা, মহারাজগঞ্জ বাজার সহ প্রতিটি বাজারে বহিঃরাজ্য থেকে বড় লড়ি করে মাছ এনে লোডিং আন লোডিং করা যাবে না। বড় গাড়ি গুলিকে রাখতে হবে নাগিছড়া ফিশ ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডে। সেখান থেকে ছোট গাড়ি করে বাজারে নিয়ে আসতে হবে মাছ। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এর কাজ। খরচ পড়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। সোসাইটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। সোসাইটিতে পুর নিগমের কর্পোরেটর সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের রাখা হয়েছে। ফিশ ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডে থাকা, খাওয়া সহ নানা ধরনের ব্যবস্হা রয়েছে। পাশাপাশি ২০ শয্যা বিশিষ্ট ডরমেটরি ব্যবস্থাও রয়েছে। ন্যূনতম ভাড়ায় পরিবহন শ্রমিকরা থাকতে পারবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, থাকবে নিরাপত্তা কর্মী। শনিবার ফিশ ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন মেয়র দীপক মজুমদার,কমিশনার ডাঃ শৈলেশ কুমার যাদব সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। মেয়র জানান, শহর আধুনিক হচ্ছে। ফলে গতানুগতিক চিন্তাভাবনায় চললে হবে না। শহরকে যানজট মুক্ত করা এবং বাজার এলাকা গুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও নির্মল রাখতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার ফলে বাজারে জনগণকে অসুবিধায় পড়তে হবে না। পাশাপাশি বহিঃরাজ্য থেকে মাছ নিয়ে আসা ড্রাইভার সহ সহকারীদের ও থাকা এবং খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে নাগিছড়ায়। একসঙ্গে ছটি বড় গাড়ি থেকে মাল লোডিং আনলোডিং করা যাবে সেখানে। পাশাপাশি দশটি বড় গাড়ি ও পার্কিং করে রাখা যাবে। ছোট গাড়ি ২০ থেকে ৩০ টি রাখা যাবে সেই জায়গায়। পরবর্তীতে মহারাজগঞ্জ বাজার সহ অন্যান্য বাজারে বহিঃ রাজ্য থেকে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আসা অন্যান্য গাড়িগুলির ব্যাপারেও এরকম চিন্তা ভাবনা রয়েছে নিগমের, জানান মেয়র।