মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
শুধু এসির ব্যবহারেই আফ্রিকাকে টপকে যাবে ভারত, বলল সমীক্ষা
গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গরম বাড়ছে ভারতেও। পার্বত্য এলাকা বাদ দিলে বাকি ভারতীয় ভূখণ্ডে এখন বছরে নয় মাস গ্রীষ্ম। তার মধ্যে অন্তত পাঁচ মাস তীব্র দহনের কবলে। এই অবস্থায় হু হু করে দেশে বাড়ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বা এসি-র ব্যবহার। এসির ব্যবহারে বৃদ্ধি মানেই গ্রিন হাউস অর্থাৎ কার্বন গ্যাসের বেশি নির্গমন তথা আরও বেশি বায়ু দূষণ। কিন্তু কিছু করার নেই। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে আশঙ্কাজনক এক তথ্য। তা হল, যে ভাবে দেশে এসির ব্যবহার বাড়ছে, তাতে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু এসি বাবদ ভারতে বিদ্যুতের যা চাহিদা তৈরি হবে, তাতে গোটা আফ্রিকা মহাদেশের সার্বিক বিদ্যুতের খরচকে টপকে যাবে ভারত। আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি (দ্য ইন্টারন্যশনাল এনার্জি এজেন্সি)-র সমীক্ষায় ধরা পড়েছে উদ্বেগের এই তথ্য।
আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি, (আইইএ) তাদের “ওয়ার্ল্ড এনার্জি আউটলুক’ শীর্ষক এই গবেষণা রিপোর্টে জানিয়েছে, এইভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকলে আগামী তিন দশকের মধ্যে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা যে কোনও দেশকে হার মানাবে। আগামী ২৫-২৬ বছরের মধ্যে কত হবে ভারতে এসি খরচ বাবদ বিদ্যুতের চাহিদা? সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালে এই চাহিদা ছিল ১১৬৭ কোটি মেগাওয়াট (৪২ এক্সাউল, সংক্ষেপে ইজে)। ২০৩০ সালে এটা বেড়ে হবে প্রায় ১৪৯২ কোটি মেগাওয়াট (৫৩.৭ এক্সাউল) এবং ২০৫০ সালেএটা আরও বেড়ে হবে ৭৩ এক্সাউল অর্থাৎ ২০২৭ কোটি মেগাওয়াট। শুধু বিদ্যুৎই নয়, পাশাপাশি জ্বালানি তেলের ব্যবহারও আগামী পঁচিশ বছরে প্রচুর বাড়বে বলে জানিয়েছে এই সমীক্ষা। এখানে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা ছিল দিন প্রতি ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল। ২০৩০ সালে এটা বেড়ে হবে ৬.৮ মিলিয়ন ব্যারেল। আর ২০৫০ সালে তা আরও বেড়ে হবে ৭.৮ মিলিয়ন ব্যারেল। আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত পাঁচ দশকে ভারত সাতশোরও বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে। এর ফলে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। ভারতের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে আবহাওয়ারও পরিবর্তন হচ্ছে। বাড়ছে গরম। গরমের থেকে রেহাই পেতে ক্রমশই এয়ার কন্ডিশন বা এসি কেনার প্রবণতা বাড়ছে। ২০১০ সাল থেকে প্রতি মধ্যবিত্ত পরিবারে বিদ্যুতের খরচ প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে। পরিবার পিছু বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে হয়েছে ২৪ ইউনিট।