সুপ্রিম কোর্ট যেন অবিশ্বাসের কেন্দ্র হয়ে না দাঁড়ায় : চন্দ্রচূড়
অনলাইন প্রতিনিধি :- সুপ্রীম কোর্ট যেন দেশের মানুষের কাছে ‘অবিশ্বাসের কেন্দ্র’ হয়ে না দাড়ায়। একই সাথে আইনজীবীদের’ ‘তারিখ পে তারিখ’ কালচার থেকে বেরুতে হবে। এই আবেদন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। শুক্রবার বিভিন্ন আবেদনের উপর শুনানির শুরুতেই দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, গত ২ মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টে নয়া মামলার (ফ্রেস মেটারস) ক্ষেত্রে আইনজীবীরা অ্যাডজারনমেন্ট চেয়েছেন ৩৬৮৮ টি কেসের ক্ষেত্রে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চান না এই সিস্টেম চালু থাকুক। অর্থাৎ ‘তারিখ পে তারিখ’ চলতেই থাকুক। প্রধান বিচারপতি শ্রীচূড়ের মত অনুযায়ী একেবারে নিতান্তই প্রয়োজন না হলে অ্যাজারনমেন্ট স্লিপ ফাইল করবেন না। আমি চাই এই ক্ষেত্রে তারিখ পে তারিখ’ যেন না হয়। এদিন প্রধান বিচারপতির সাথে সে সময় বেঞ্চে আরও ২ বিচারপতি ছিলেন। এরা
হলেন বিচারপতি জেরি পরদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রী। প্রধান বিচারপতি শ্রীচন্দ্রচূড় আরও বলেছেন, একদিকে মামলাগুলির শুনানি হচ্ছে আবার অন্যদিকে মামলাগুলি ক্ষেত্রে অ্যাডজারনমেন্ট চাওয়া হচ্ছে। তাই আমি আইনজীবীদের প্রতি আর্জি করছি একান্ত জরুরি না হলে এমন দাবি করবেন না। এটা তারিখ পে তারিখ কোর্ট হোক আমি চাই না। এতে করে দেশের মানুষের ভরসা হারিয়ে যাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি। উল্লেখ্য, বলিউডের সিনেমা দামিনীতে আদালতের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারিখ পে তারিখ। কালচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেতা সানি দেওল। এদিন মানুষের মনে রেখাপাত করা সেই তারিখ পে তারিখের উল্লেখ করে আইনজীবীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি।একই সাথে প্রধান বিচারপতি অবশ্য জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে নয়া মামলাগুলির শুনানির ক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। একই সাথে। আইনজীবীরা যে কারণে অকারণে তারিখের পর তারিখ চেয়ে মামলাগুলিকে দীর্ঘদিন টেনে নিয়ে। যান এই ধারা বদলানোর কথাও এদিন বলেন শ্রীচন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, আজকের দিনে ১৭৮ টি অ্যাডজারমেন্ট স্লিপ জমা পড়েছে।
অক্টোবর থেকে প্রতি একদিন অন্তর অন্তর অন্তত ১৫০টি অ্যাডজারনমেন্ট স্লিপ জমা
পড়েছে। সবমিলিয়ে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে সাথে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৮৮ টি। এতে করে মামলার যে প্রকৃত উদ্দেশ্য তা ব্যাহত হচ্ছে।