শ্রীজগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদ এখন মহার্ঘ্য, দাম বাড়ল তিনগুণ
অনলাইন প্রতিনিধি :- জগন্নাথদেব মন্দিরের মহাপ্রসাদের দাম বৃদ্ধি হল। তাও আবার পাচ দশ টাকা নয়। এবার প্রভু জগন্নাথের মহাপ্রসাদ নিতে হলে আগের চেয়ে তিন গুণ বেশি টাকা দিতে হবে ভক্তদের। হাতে আর মাত্র দিন পনের সময় আছে। আগামী ১ কার্তিক, অর্থাৎ কালীপুজো- ভাইফোটা কাটলেই মহাপ্রসাদ মহার্ঘ্য হতে চলেছে। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দিরের সেবক কমিটি। তাতে ছাড়পত্র দিয়েছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির ট্রাস্ট। মহাপ্রসাদের ৫৬ ধরনের রকম ফের রয়েছে। এই প্রসাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিও দেওয়া হয়। ভক্তদের মাটির পাত্রে মহাপ্রসাদ বিলি করে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ভোগ হিসেবে চারবেলা এই মহাপ্রসাদ জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে নিবেদন করেন সেবায়েতরা। মহাপ্রসাদ রান্না হয় টাকা বিশেষ ধরনের কাঠের চুল্লীতে। ( একটি হাঁড়ির উপর আরেকটি রেখে সেই রান্না করেন মন্দিরের সেবকরা। মহাপ্রসাদ তৈরি ও বিক্রির বিষয়টি পুরীর তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন। গত বছর সেবায়তদের মধ্যেই এই মহাপ্রসাদের রান্না নিয়েই হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নবীন পট্টনায়ক প্রশাসনকে। এমনকি জগন্নাথের রান্নার উনুন ভাঙার টনাও ঘটেছিল।পুরীর জগন্নাথ ধামের মহাপ্রসাদের বিভিন্ন রকমের দাম। আগে ১০০ টাকার প্রসাদে তৈরি করা ভাল, ডাল ও বেসর অর্থাৎ বিশেষ এক বিশেষত ধরনের সবজি দিত মন্দির কর্তৃপক্ষ। রান্নার একজন ব্যক্তির পেট ভরার মতো ভাত দেওয়া হত সেখানে। যা এবার থেকে ঘোষণা গেলে ৩০০ টাকা দিতে হবে মধ্যে। ভক্তদের। অন্যদিকে দুই থেকে তিনটি অতিরিক্ত পদ নিলে মহাপ্রসাদের বেড়ে দাঁড়াত ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। সেখানে থাকত ডালমা, মহুরা এই বিশেষ একটি সব্জি) ও সাগা। এবার থেকে সেটা নিতে গেলে ৪৫০ থেকে সাধু টাকা দিতে হবে পুণ্যার্থীদের।পুরীর মহাপ্রসাদ নিয়ে এর আগে করা একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই সেবায়তদের দোর্দন্ড প্রসা প্রতাপকেই এর জন্য দায়ি করেছেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি পা টেলিভিশন সংস্থার খবর অনুসারে, প্রতিদিনে এক লাখ ভক্তর জন্য দিে মহাপ্রসাদ তৈরির সংস্থান রয়েছে পুরীর জগন্নাথ ধামে। কিন্তু সেখানে মাত্র ১৫ হাজার পুণ্যার্থীর জন্যেই তা তৈরি করা হয়। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান বিশেষত রথযাত্রার সময় মহাপ্রসাদের রান্নার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয় মাত্র। প্রসাদের দাম বৃদ্ধির কথা ঘোষণা হতেই ক্ষোভ বাড়ছে ভক্তদের মধ্যে। অনেকেই এই মহার্ঘ্যের জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দায়ী করেছেন। মহাপ্রসাদের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলেছেন ভক্তদের একাংশ। এই ইস্যুতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রায় চার দশকের ভক্ত অনির্বাণ সাধু বললেন, ‘মহাপ্রসাদের এই অস্বাভাবিক দাম আগে লক্ষ্য করা যায়নি। এতো টাকা খরচ করে দরিদ্র ভক্তদের পক্ষে এই প্রসাদ কেনা যথেষ্ট দুঃসাধ্য।’ সেবক সমিতির সেক্রেটারি বলদেব পাণ্ডা জানিয়েছেন, নানা খাতে আমাদের মন্দির কর্তৃপক্ষকে টাকা দিতে হচ্ছে। সেই কারণে মহাপ্রসাদের দাম কিছুটা বাড়াতে হয়েছে।’