দীর্ঘবছর ধরে নিয়োগ নেই, খুঁড়িয়ে চলছে উত্তর পূর্বের একমাত্র সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলায় অবস্থিত উত্তর পূর্বাঞ্চলের একমাত্র সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়টি(শচীন দেববর্মণ সরকারী সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়)বর্তমান সময়ে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এর মধ্যে সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে শিক্ষকস্বল্পতা। বর্তমানে এই মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর অনুপাতে ইউজিসি গাইড লাইন মোতাবেক যে পরিমাণ শিক্ষক থাকার কথা,তার ধারে কাছেও নেই।পুরো কলেজের পঠনপাঠন থেকে শুরু করে সঙ্গীতের নানাবিধ চর্চা ও অনুশীলন চলছে অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাধ্যমে।ইউজিসি গাইড লাইন মোতাবেক যে কলেজে ১৭ থেকে ১৮ জন অধ্যাপক থাকার কথা, সেখানে বর্তমানে আছেন মাত্র তিন জন। এই তিনজনের মধ্যে একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর,দুই জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৪ সালে সর্বশেষ অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হয়েছিল।ওই সময় আটটি পোস্টের মধ্যে মাত্র তিন জন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর নিয়োগ করা হয়েছিল।তার মধ্যে একজন সহকারী অধ্যাপক পরবর্তীকালে অন্য কলেজে চাকরি পেয়ে কলেজ ছেড়ে চলে গেছেন।২০১৪ সালের পরে আর কোনও অধ্যাপক নিয়োগ করা হয়নি।২০১৬ সালে সাতটি একমপেনিস্ট পদের মধ্যে ছয় জন নিয়োগ করা হয়েছিল।এরা মূলত শিক্ষক নয়।অথচ এই গর্বের সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দশ হাজারের উপর ছাত্রছাত্রী পাস করে বসে আছে।অনেক ছাত্রছাত্রী পরবর্তীকালে বহি:রাজ্য থেকে মাস্টার ডিগ্রি এবং নেট পিএইচডি, বিএড, এমএড করে বসে আছে।ওই সব ছাত্রছাত্রীরা আজ হতাশার মুখে নিমোজ্জিত। জীবন-জীবিকা এবং রুটি-রুজির প্রশ্নে তারা হতাশায় ভুগছে।তাদের কর্মসংস্থানের প্রশ্নে সরকারের কোনও উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।শুধু তাই নয়,এই ব্যাপারে সরকারের কোনও সারা শব্দ পর্যন্ত নেই। জানা গেছ, ২০০৮ সালে তৈরি হওয়া ইন্সট্রাক্টর পদের ফাইল ২০২৩ সালেও মহাকরণের ঠাণ্ডা ঘরে পড়ে আছে। আজও সেই ফাইল অর্থ দপ্তরের অনুমোদন পায়নি। সঙ্গীত নিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভের পরও রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে।ইতিমধ্যে অনেকের চাকরির বয়স পেরিয়ে গেছে। অনেকের চাকরির বয়স পার হয়ে যাওয়ার পথে।ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে। বেকার ছাত্রছাত্রীরা এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার সাথেও দেখা করে তাদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন।কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখা যায়নি।