মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ফেব্রুয়ারী, মার্চে করার উদ্যোগ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে পরীক্ষা ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে।ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে হাতে কলমে তথা প্র্যাকটিকেল পরীক্ষা।চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে রাজ্য পর্ষদের আওতাধীন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে হাতে কলমে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।এই পরীক্ষা চলবে সামনের বছর ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ার পর্যন্ত। মাধ্যমিক ,উচ্চমাধ্যমিকের হাতে কলমে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর প্রিবোর্ড, মানে বিদ্যালয়স্তরের চূড়ান্ত আভ্যন্তরীণ পরীক্ষা হবে। আগে টেস্ট পরীক্ষা নামে পরিচিত এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে রাজ্য বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের তরফে।এর ভিত্তিতেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল পর্ষদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে পরীক্ষার্থীরা।এমতাবস্থায় রাজ্য পর্ষদের তরফে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল মাদ্রাসা আলিম সহ মাদ্রাসা ফাজিল থিওলজি এবং মাদ্রাসা ফাজিল কলার লিখিত পরীক্ষার সূচি চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে খবর। প্রাপ্ত খবর অনুসারে এই সূচির আলাদা দুটি বিকল্প রাখা হয়েছে।
প্রথম বিকল্প অনুসারে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে সামনের বছর,২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের চতুর্থ সপ্তাহের শেষদিকে। শেষ হবে একই বছরের মার্চ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে।অপর বিকল্প অনুসারে এই পরীক্ষা শুরু হবে সামনের বছরের মার্চ মাসের একেবারে গোড়ার দিকে।শেষ হবে এপ্রিলের শুরুর দিকে।আপাতত পরীক্ষাসূচি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে থাকলেও এর ঘোষণা হতে ঢের বাকি রয়েছে।এর জন্য আনুষঙ্গিক কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। অনুমোদন নিতে হবে রাজ্য প্রশাসনের। এই উপলক্ষে দিন কয়েকের মধ্যে পর্ষদের তরফে পরীক্ষা সূচির আলাদা দুই বিকল্প সহ যাবতীয় তথ্য পাঠানো হবে প্রশাসনের কাছে।প্রশাসন সংশ্লিষ্ট নানা দিক খতিয়ে এর অনুমোদন দিলে পর্ষদের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি ঘোষণা করা হবে।পরীক্ষাসূচি ঘোষণার আগে আসন্ন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার জন্য নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করা হবে।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্টের কথা মাথায় রেখে পরীক্ষাসূচি ঘোষণার আগে প্রয়োজনীয় এবং সম্ভাব্য নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হয়েছে পর্ষদের তরফে।এরপর রাজ্য প্রশাসন এ নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে পর্ষদের উদ্দেশে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।এর ভিত্তিতে পরীক্ষাসূচি চূড়ান্ত করা হবে পর্ষদের তরফে।তবে প্রাথমিকভাবে পর্ষদের পরীক্ষাসূচি তৈরি হয়ে আছে। যেকোনও মূল্যে ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ অথবা মার্চ মাসের গোড়ার দিকে পরীক্ষা শুরু করতে চাইছে রাজ্য পর্যৎ।কেননা, তা না হলে উত্তরপত্র মূল্যায়নশেষে নির্দিষ্ট সময়ে ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে বেগ পেতে হয় পর্ষৎ কর্তৃপক্ষকে।এমন পরিস্থিতি হয়েছে চলতি ২০২৩ সালে পর্ষদের মাধ্যমিক,উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল মাদ্রাসা সহ মাদ্রাসা ফাজিল থিওলজি এবং মাদ্রাসা ফাজিল কলার লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে। কারণ এ বছর ১৬ ফেব্রুয়ারী রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হয়।নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয় ২ মার্চ। রাজ্যের নয়া মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয় ৯ মার্চ।এই কারণে পর্ষদের পরীক্ষাসূচি শেষপর্যন্ত পিছিয়ে দিতে হয়েছে। শেষপর্যন্ত পরীক্ষা শুরু করতে হয় ১৫ মার্চ থেকে। শেষ করা হয়।১৯ এপ্রিল।এর আগে মার্চের গোড়ার দিকে পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয় পর্ষদের তরফে।এই উদ্যোগ রাজ্য বিধানসভাজনিত পরিস্থিতিতে সম্ভব হয়নি পর্ষদের তরফে।অবশেষে পরীক্ষা দেরিতে শুরু ও শেষ করায় উত্তরপত্র মূল্যায়নে অল্পবিস্তর জটিলতা দেখা দেয়।পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে পর্যৎ কর্তৃপক্ষ এবার কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না।যেকোনও উপায়ে ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ অথবা মার্চের গোড়ার দিকে পরীক্ষা শুরু করে দিতে চাইছে পর্যৎ।সামনের বছর লোকসভা নির্বাচন থাকায় এক্ষেত্রে পর্ষদের বড়ো সমস্যা হবে না কর্তৃপক্ষের অনুমান।কারণ বিধানসভা নির্বাচনের মতো লোকসভা নির্বাচনজনিত ঘটনাপ্রবাহ এত দীর্ঘায়িত হওয়ার কথা নয়।জানা গেছে, পর্যদের তরফে জানুয়ারী মাসের গোড়ার দিকে পরীক্ষাসূচি ঘোষণার চিন্তাভাবনা চলছে।এ নিয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় পর্ষদের সচিব ড.দুলাল দে’র সঙ্গে।তিনি সংবাদের প্রতিপাদ্য কার্যত মেনে নিলেও সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।শুধু বলেন,পরীক্ষাসূচি নিয়ে সম্ভাব্য সবদিক খতিয়ে দেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ চলবে।গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে যথাসময়ে পরীক্ষাসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।