চিনের আকাশ থেকে মাটিতে ঝড়ে পড়ল ঝাঁক ঝাঁক মৃতপাখি!!

 চিনের আকাশ থেকে মাটিতে ঝড়ে পড়ল ঝাঁক ঝাঁক মৃতপাখি!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

আকাশে উড়তে উড়তে ঝাঁকে ঝাঁকে মৃত পাখি মাটিতে গড়িয়ে পড়ছে।দক্ষিণ চিনের গুয়াংঝি অঞ্চলের লাইবিন এলাকায় এমন মর্মন্তুদ দৃশ্য ধরা পড়েছে ভিডিয়ো ক্যামেরায়।সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি বহুতল বাড়ির উপর দিয়ে উড়ে চলেছে অপরূপ পাখির ঝাঁক। কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, পাখিরা কোথাও উড়ে যাচ্ছে না,তারা গড়িয়ে পড়ছে মাটির দিকে।আরও পরে বোঝা যায়,পাখিগুলি সব মৃত।সম্ভবত,আকাশে ওড়ার সময়েই কোনও কারণে তাদের মৃত্যু ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,ওই পাখিদের ঝাঁক নিচে গড়িয়ে পড়ার আগে গোল হয়ে আকাশে চক্কর দিচ্ছিল।

ঝাঁকের পাখিরা সব সোয়ালো প্রজাতির।চিনে এদের আবাবিল পাখিও বলা হয়। মৃত সোয়ালো পাখিগুলি আকারে মাঝারি থেকে বড় সমস্ত আকৃতির।একটি ছবিতে দেখা গেছে ওই হৃদয়বিদারী দৃশ্য।রাস্তায় পড়ে রয়েছে সারবন্দি মৃত পাখির দল। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সান’- এর খবরে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শীতের পরিযায়ীদের এমন জীবনে আকস্মিক দুর্যোগ নেমে এসেছে। সোয়ালো পাখি দেখতে ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়। আকৃতি হয় ১৬ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার।মসৃণ, সুবিন্যস্ত শরীর।আকাশে ওড়ার আশ্চর্য দক্ষতার জন্য তারা পক্ষীকুলে কুলীন।এক দেশ থেকে সুদূর অন্য দেশে তারা বিরতিবিহীন উড়তে পারে।শীতকালে এসব পাখির খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়লে অপেক্ষাকৃত কম ঠান্ডা অঞ্চলে এরা পাড়ি দেয়। সোয়ালো পাখি গাছের ডালে অন্যান্য পাখির মতো বসতে পারে না। কারণ এদের পা ছোট, নখ বড়শির মতো। তবে নখের আঁকশিতে ভর করে গাছের ডালে তারা ঝুলে থাকে,আসলে সেটাই ওদের ‘বসে’ থাকা।তবে এরা গাছের ডালে ঝুলে থাকে মাত্র কিছু সময়, জীবনের অধিকাংশ সময় তারা আকাশে উড়েই কাটায়।আকাশে ওড়াই এদের জীবন। ঝাঁক বেঁধে ওড়া এই পাখি খেলুড়ে ও ফুর্তিবাজ।এদের শরীরের কাঠামো, ওড়ার গতি ও ছন্দ, উপর-নিচ করার দক্ষতা ও আচমকা দিক বদলের ক্ষমতা ফাইটার বা বোমারু বিমানের কথাই মনে করিয়ে দেয়।এদের দেহকাঠামো তথা ডানা, লেজের গড়ন ও ধরনের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় বিশ্বের দু’-তিন রকম অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমানের।মাটি থেকে ৫০০-৭০০ ফুট বা তারও উপরে এরা ছোট-বড় ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়।উড়ে উড়েই এরা ছোট ছোট পোকা খায়। অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশেই সোয়ালো পাখির দেখা পাওয়া যায়।এরা দল বেঁধে বাসা বানায়।বাসার আকৃতি হয় কাপের মতো। পাথর ও পাহাড়ের খাঁজে, উঁচু বাড়ির ছাদে এরা বাসা বাঁধে বটে, কিন্তু সেখানে থাকে অতি অল্প সময়। বাকিটা আকাশেই ওড়ে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.