টানা অবরোধে বাংলাদেশে ক্ষিপ্ত জনজীবন!!
অনলাইন প্রতিনিধি:-বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনের নির্ঘন্ট বাতিলের দাবিতে ৭ম দফায় অবরোধ চলার সময় ৪টি গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে অবরোধকারীরা।রবিবার সকাল ৬টা থেকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৭ম দফার অবরোধ শুরু হয়েছে। বিএনপি অবরোধ ডাকলেও রাজপথে তাদের তৎপরতা খুব একটা দেখা যায়নি।তবে গোপনে সড়কে এসে যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে।রবিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে বরিশালে অবরোধকারীরা একটি ট্রাকে, কুমিল্লায় একটি বাসে, ঢাকার যাত্রাবাড়িতে হানিফ ফ্লাইওভারে এবং ঢাকার আবদুল্লাহপুরে একটি বাসে আগুন দিয়েছে।এর আগে শনিবার রাতে উত্তরা আব্দুল্লাহপুরে বিআরটিসি একটি দোতলা বাস আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে অবরোধীকারীরা।সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সপ্তম দফা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন রবিবার সড়কে প্রায় স্বাভাবিক দিনের মতোই চলেছে গণপরিবহণ। গণপরিবহণের পাশাপাশি প্রাইভেট কার, সিএনজি রিকশাসহ অন্যান্য যানের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে দূরপাল্লার গাড়ি চলেছে খুবই অল্প।যাত্রীর অভাবে দূরপাল্লার গাড়ি ছাড়তে পারছেন না বলে জানিয়েছেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা।অবরোধে নেতা-কর্মীদের ‘দুর্জয় সাহস নিয়ে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।এক ভিডিও বার্তায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান।গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবরের পর থেকে কয়েক দফা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও তাদের শরিকরা।সপ্তম দফা অবরোধের প্রথম দিন সকালে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ঝটিকা মিছিল করেছে।সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ‘গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে’ অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেন নেতা কর্মীরা।মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।এদিকে একের পর এখ অবরোধ-হরতাল দিয়েও আন্দোলন জমাতে না পেরে বিএনপি নেতারা আন্দোলনের ধারা পরিবর্তন করার কথা চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে।পরিকল্পনা করে জ্বালাও পোড়াওয়ের পরও আন্দোলন চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়ে।বিএনপির সঙ্গে সমমনাদের দূরত্ব বাড়ছে। কয়েকটি দলের নেতারা বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে সরকারের আহ্বানে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়।অন্যদিকে, অবরোধ সময়ে সাধারণ মানুষ তাদের প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড ঠিকমতো করতে পারছেন না বলে ক্রমেই বিএনপির উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন।এ অবস্থায় হাসিনা সরকারকে হটানের আন্দোলন যেকোনও সময় মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।