বছরে ১.৫ ডিগ্রি বাড়তে পারে বিশ্বের তাপমাত্রা, সামনে এল গবেষণা তথ্য!!

 বছরে ১.৫ ডিগ্রি বাড়তে পারে বিশ্বের তাপমাত্রা, সামনে এল গবেষণা তথ্য!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

উষ্ণায়ন প্রতিরোধে বিশ্বের তাবড় দেশগুলির অঙ্গীকার ছিল প্রাক্‌-শিল্পবিপ্লব যুগের তুলনায় বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকিয়ে রাখা। সেই পথ ধরেই ২০১৫ সালে এসেছিল প্যারিস চুক্তি। তারপর আট বছর পেরিয়ে গেলেও বিশেষত উন্নত দেশগুলিতে কার্বন নির্গমনের মাত্রার কোনও পরিবর্তন হয়নি। চলতি ২০২৩ সালটি বিশ্বের উষ্ণতম বছরের শিরোপা পাওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এবার সামনে এল উদ্বেগজনক তথ্য।নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে,জীবাশ্ম জ্বালানির মাধ্যমে কার্বন ডাই- অক্সাইডের নির্গমন অব্যাহত থাকলে আগামী ৭ বছরের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির সীমারেখা ছাড়িয়ে যেতে পারে।এ গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীরা জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক কপ-২৮ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলিকে কয়লা, তেল ও গ্যাস দূষণের বিষয়ে ‘এখনই পদক্ষেপ করা’র আহ্বান জানিয়েছেন।সংযুক্ত আরব আমিশাহির (ইউএই) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত কপ-২৮ সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার বিষয়টি নিয়ে প্রতিটি দেশ তাদের মতামত রাখছে।

তবে বেশির ভাগ গ্রিনহাউস গ্যাস (কার্বন, মিথেনের মতো ক্ষতিকারক গ্যাস)নিঃসরণের জন্য দায়ী বড় দেশগুলি তেমন ভাবে সচেষ্ট নয় বলে অভিযোগটি অনেক পুরনো।সম্প্রতি এমন একটি তথ্য সামনে এসেছে যেখানে জানা গেছে, বিশ্বের মধ্যে একক দেশ হিসাবে কার্বন নির্গমনের হার সবচেয়ে বেশি অর্থ ও সামরিক ক্ষমতার ভারে পৃথিবীর নব্য মহারথী চিন।
জলবায়ু বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক জোটের গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের বার্ষিক মূল্যায়ন বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানির মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইডের দূষণ গত বছর ১.১ শতাংশ বেড়েছে।চিনে তো কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ছেন, এই দৌড়ে ভারতও পিছিয়ে নেই।এই দুই প্রতিবেশী দুটি এখন যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ।জলবায়ুবিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন,২০৩০ সালের মধ্যে একাধিক বছরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ।২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি শিল্পায়নপূর্ব সময়ের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখতে চুক্তি হয়েছে।ব্রিটেনের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তথা এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক পিয়েরে ফ্রিডলিংস্টেইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্তমান ও ১.৫ ডিগ্রি সীমার মধ্যকার সময় দ্রুত সংকুচিত হয়ে আসছে, তাই ১.৫ ডিগ্রির নিচে বা ১.৫ ডিগ্রির খুব কাছাকাছি থাকার সুযোগ রাখতে আমাদের এখনই পদক্ষেপ করতে হবে।’

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.