বেহাল ‘ইএসআই’!!

 বেহাল ‘ইএসআই’!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে।সেই অর্থে রাজ্যবাসীর কল্যাণে যাবতীয় কাজকর্ম, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের যাবতীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে ডবল ইঞ্জিনের গতি থাকার কথা।রাজ্যের বর্তমান সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা হামেশাই এই দাবি করেন। সরকার জনকল্যাণ দিনরাত কাজ করছে বলে বুক বাজিয়ে প্রচার করেন। এখনতো আবার গোটা রাজ্য জুড়ে বর্তমান সরকারের ঘরে ঘরে সুশাসনের দ্বিতীয় পর্ব প্রচার কর্মসূচি চলছে।আর এই প্রচারের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।কিন্তু প্রকৃতপক্ষে রাজ্যবাসী ডাবল ইঞ্জিন সরকারের যাবতীয় সুযোগসুবিধা ভোগ করতে পারছে কি?এই প্রশ্ন উঠার পেছনে একটাই কারণ, মুখে মুখ ডবল ইঞ্জিনের সুবিধার প্রচার করা হলেও বাস্তবের সাথে এর বিস্তর ফারাক রয়েছে।মাত্রাতিরিক্ত বগির ভারে ডবল ইঞ্জিন নিয়েও সরকারের উন্নয়নের গাড়ি ছুটতে পারছে না।বরং গতি অনেকটাই থমকে গেছে।সব দেখেশুনে হচ্ছে,এসব দেখার বা নজরদারি করার কেউ নেই।সবকিছুই যার যেমন খুশি চলছে।ইঞ্জিনের দম বা শক্তি না থাকলে, গাড়ি যতই ঝাঁ চকচকে হোক না কেন, সেই গাড়ি দৌড়োতে পারবে না।এটাই বাস্তব সত্য।এই বাস্তবতা অস্বীকার করার উপায় নেই।বর্তমান রাজ্য সরকারের অবস্থা অনেকটাই দমহীন,শক্তিহীন ইঞ্জিনের মতো। সবকিছু থাকা সত্ত্বেও যেন দৌড়োতে পারছে না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জনকল্যানমুখী প্রকল্পগুলি সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছেছে কি না?রাজ্যের গরিব জনগণ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সুযোগসুবিধা ঠিকমতো পাচ্ছে কিনা?এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি দেখার জন্য, সমস্যা থাকলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমস্যা দূর করার জন্য যেন কেউ নেই।
এক্ষেত্রে শুধু একটি উদাহরণ তুলে ধরলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।বৃহস্পতিবার রাজ্যের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ইএসআই প্রকল্পের দুরবস্থা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিস্ময়ের ঘটনা হলো, এই দুরবস্থা একমাস বা দুই মাসের নয়। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। দিনের পর দিন ধরে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত গরিব শ্রমজীবী অংশের হাজার হাজার মানুষ চরম হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।অথচ ডবল ইঞ্জিন সরকারের কোনও হেলদোল নেই।এ ব্যাপারে সরকারের কোনও ইতিবাচক উদ্যোগও চোখে পড়ছে না। মাঝে মাঝে শুধু নেতা-মন্ত্রীদের মুখে ইএসআই প্রকল্প নিয়ে আকাশকুসুম গল্প শোনা যায়।অমুক হবে,তমুক হবে।কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে না কিছুই।এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীরা গরিব শ্রমজীবী অংশের মানুষ । তাদের আয় সামান্য। তারা যাতে প্রয়োজন হলে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করতে পারে, এর জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই সুবিধা গ্রহণের জন্য সুবিধাভোগীদের প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ প্রদান করতে হয়।অথচ রাজ্যে সুবিধাভোগীরা এই প্রকল্প থেকে ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা পর্যন্ত পাচ্ছেন না। আগরতলা শ্যামলীবাজারস্থিত ইএসআই ডিসপেনসারিটি এখন সাইনবোর্ড সর্বস্ব।চিকিৎসক নেই।থাকলেও অনিয়মিত। দূরদূরান্ত থেকে পরিষেবা নিতে এসে জনগণকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।গত মঙ্গলবারও একই ছবি দেখা গেছে। বিনামূল্যে কোথাও ওষুধ পওায়া যায় না।অথচ প্রতিমাসেই বেতন থেকে অর্থ কেটে নেওয়া হচ্ছে।এই প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের অধীন।ফলে রাজ্যে এই প্রকল্প রূপায়ণে দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য শ্রম দপ্তর।দীর্ঘদিন ধরে এই অচলাবস্থা চলতে থাকলেও দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ‘ইএসআই’ তুমি কার ?

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.