নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীঃ জিতেন্দ্র
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের আনলো সিপিআইএম। এই অভিযোগ এনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী । তিনি তার চিঠিতে বলেছেন , মুখ্যমন্ত্রী প্রধানত নির্বাচনি প্রচারের উদ্দেশ্যে এই সফর পরিচালনা করছেন । তার সাথে থাকবেন তার দলের চারজন নেতা টিংকু রায় , বলাই গোস্বামী , দিলীপ দেবরায় এবং কমল মল্লিক । ৫৭- যুবরাজনগরের কৃষ্ণপুর এবং ৪৬ – সুরমা ( এসসি ) -র বামুনছড়া এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে তারা প্রচার করবেন । এই সফর কর্মসূচিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে , মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে পুরো সফর পরিচালনা করবেন এবং উত্তর ত্রিপুরা ও ধলাই জেলার জেলা প্রশাসনের সাথে বৈঠক করবেন , যেখানে দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ঘোষণার পর আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর করা হয়েছে গত ২৬ মে । কিন্তু এরপরও তা মানা হচ্ছে না ।জিতেন্দ্র চৌধুরীর আরও অভিযোগ প্রথমত , এই সফর পরিচালনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পার্টি ইন পাওয়ার শিরোনামের কর্মসূচির মাধ্যমে আদর্শ আচরণবিধির অধীন ৭ ধারার বিধি ১ এর অনুচ্ছেদ ( a ) এবং ( b ) লঙ্ঘন করেছেন ।
দেখা গেল নির্বাচনমূলক কাজগুলির সাথে সরকারী সফরের সমন্বয় প্রকাশিত হচ্ছে । যদিও এই সময়ে মন্ত্রীদের দ্বারা এবং ক্ষমতায় থাকা দলের স্বার্থ সম্প্রসারণের জন্য যেকোনও ধরনের সরকারী পরিবহণ ব্যবহার নিষিদ্ধ । দ্বিতীয়ত , উত্তর ত্রিপুরা এবং ধলাই— উভয় জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টররা এখন জেলা নির্বাচন অফিসার হিসাবে মনোনীত । কোনও প্রকৃত উদ্দেশ্য প্রকাশ না করে , তাদের সাথে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক অনেক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে । কারণ জেলাগুলিতে নির্বাচনি আদর্শ আচরণ বিধি প্রয়োগ করা হয়েছে।তিনি বলেছেন , শুক্রবার রাজ্যের মুখ্য আচরণবিধি নির্বাচন আধিকারিক আহূত বৈঠকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পূর্ব অভিজ্ঞতাগুলি প্রমাণ সহ তুলে ধরেছিলো সিপিআইএম প্রতিনিধিরা । কিন্তু দেখা গেল এক রাতের মধ্যে আগের মতোই সব শুরু হয়ে গেল । তবে এটা আমরা আশা করিনি যে ক্ষমতাসীন দলের এই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন শুরু করে দিলেন । যা ঠিক হল না । তিনি রাজ্য মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলে ধরতে এবং আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে।