শীঘ্রই আইএলএস সিস্টেম চালুর দাবিতে সরব বিপ্লব!!

 শীঘ্রই আইএলএস সিস্টেম চালুর দাবিতে সরব বিপ্লব!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যের সাংসদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব শুক্রবার সংসদে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সরব হয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বিমান অবতরণে সহায়ক অত্যাধুনিক আইএলএস সিস্টেম চালু করার দাবি উত্থাপন এবং কেরালার এক বাম সাংসদের উত্থাপিত দেশ থেকে তা রাজ্যপাল পদটি তুলে দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সরব হওয়া। সম্প্রতি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বেশ কিছু বিমান আগরতলা এমবিবি রি বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি। বেশ কিছু বিমান অবতরণের চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। আকাশে বার বার চক্কর কেটে শেষে ফিরে যায়। বেশ কয়েকটি বিমান অন্য রাজ্যে গিয়ে অবতরণ করে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এদিন সাংসদ শ্রীদেব আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও যেন বিমান নির্বিঘ্নে অবতরণ করতে পারে তার জন্য অত্যাধুনিক ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আপডেটেড আইএলএস পদ্ধতি শীঘ্রই কার্যকরী করার জন্য রাজ্যসভায় দাবী উত্থাপন করেন।তিনি বলেন, অত্যাধুনিক এমবিবি বিমানবন্দরটি আই এফ আর অর্থাৎ ইনস্ট্রুমেন্ট ফ্লাইট রুলস এর আত্ততাধীন। অতি সম্প্রতি আইএলএস পদ্ধতির নবীকরণের ফলে আংশিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এই পদ্ধতি বিমান অবতরণের জরুরি নির্দেশিকা এবং দিশা নির্দেশনার সহায়ক। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বিমান অবতরণের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার অত্যন্ত আবশ্যক। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিসিএ -এর অনুমতি মিললেই শীঘ্রই এই পরিষেবা লাগু হতে পারে।যা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতেও রাজ্যমুখী প্রত্যেক বিমানের অবতরণে সহায়তা করবে। তিনি আরও উল্লেখকরেন, এই শীতের মরশুমে প্রবল কুয়াশার কারণেও বিমান অবতরণে যেন বিঘ্ন না ঘটে সে ক্ষেত্রে এর বিশেষ ভূমিকা থাকবে। তাই অতি শীঘ্রই ডিজিসিএ- এর অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে এই আইএলএস পরিষেবার অত্যাধুনিক পদ্ধতিটি লাগু করার উপর জোর দেন। শ্রীদেব বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে যখন রাজ্যমুখী বিমান পার্শ্ববর্তী বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়, তখন যাত্রীদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকী তাদের মূল্যবান সময় এবং আর্থিক – দুইদিকেই লোকসান হয়। পাশাপাশি এদিন রাজ্যে চলমান রেললাইন নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়েও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শ্রীদেব। অন্যদিকে, এদিন সংসদে কেরালা থেকে বাম সাংসদ ডক্টর শিবদেষণ গোটা দেশ থেকে রাজ্যপাল পদটি বিলুপ্তির দাবি জানান। এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীদেব বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যুগে যুগে কমিউনিস্টরা সংবিধানকে মান্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহার একাধিক দৃষ্টান্ত রেখেছে। প্রসঙ্গ টেনে ত্রিপুরায় বিগত কমিউনিস্ট সরকারের তুলোধোনো করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর দেখতে পান মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে জাতীয় পতাকা পর্যন্ত নেই। গোটা দেশে স্বর্ণ রাজ্যের ভুয়ো ছবি তৈরি করে মানুষকে বিব্রত করা হয়েছে। উল্টো, ঋণের পাহাড় ছিল সরকারের উপর। প্রসঙ্গক্রমে, এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরও দৃষ্টান্ত টেনে আনেন। তিনি বলেন, ভারতীয় সংবিধান থেকে কমিউনিস্ট সংবিধান তাদের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এমনকী স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসেও দলীয় কার্যালয়ে কমিউনিস্টরা আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতো না কিন্তু বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত উত্তোলন করতে শিখেছেন। কমিউনিস্টরা বরাবরই সংবিধান বিরোধী, তাই তাদের এ ধরনের বক্তব্য বলে মন্তব্য করেন সাংসদ শ্রীদেব।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.