লংমার্চ ঠেকাতে পাক সরকারের খরচ হল ১৫ কোটি রুপি

 লংমার্চ ঠেকাতে পাক সরকারের খরচ হল ১৫ কোটি রুপি
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক – ই ইনসাফ ( পিটিআই ) এর ‘ হাকিকি আজাদি মার্চ ” ঠেকাতে পাকিস্তান সরকারের খরচ হয়েছে পনেরো কোটি রুপি । নাম গোপন রাখার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা ইংরেজি দৈনিক ডনকে বলেন , অর্থের জন্য সরকারের কাছে চাহিদা তালিকা পাঠালে তা অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ । এদিকে হঠাৎ লংমার্চ বন্ধে সমালোচনায় পড়েছেন ইমরান খান । অভিযোগ উঠছে , সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার পতনের আগেই লংমার্চ শেষ করেছেন তিনি । এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ইমরান খান জানান , চুক্তি নয় রক্তপাত এড়াতেই আজাদি মার্চ বন্ধ করেছি । পিটিআইয়ের লংমার্চ ঠেকাতে সম্পূরক অনুদানের জন্য চিফ কমিশনার কার্যালয়কে অনুরোধ করা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন । পরে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে তহবিল আকারে বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা । পাঁচ দিনের জন্য তিনশ আশি টি কন্টেইনার ভাড়া করার জন্য চার কোটি পঁচাত্তর লাখ , চারটি ক্রেনের জন্য তেরো লাখ এবং চারটি কাঁটা উত্তোলকের জন্য দশ লাখ রুপি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল।

একইভাবে ,বাইরে থেকে রাজধানীতে ফোর্স পরিবহণের জন্য একশটি বাসের জন্য সাতাশ লাখ আটানব্বই হাজার পাঁচশ , রাজধানীর ভিতরে বাহিনী পরিবহণের জন্য তিনশ পঞ্চাশটি বাসের জন্য সাতানবুই লাখ চুরানব্বই হাজার সাতশ পঞ্চাশ , লজিস্টিক দলের একশটি ট্রাকের জন্য ষোল লাখ পঁচানব্বই হাজার , পাঁচ দিনের খাবার জলের জন্য ষোল লাখ পঁচাশি হাজার , দশটি জলের ট্যাঙ্কারের জন্য দুই লাখ ষাট হাজার রুপি দাবি করা হয়েছিল । অধিকন্তু, রাজধানী এবং অন্যান্য জেলা থেকে পনেরো হাজার পুলিশ কর্মকর্তার পাঁচ দিনের জন্য খাবার বাবদ চার কোটি বারো লাখ পঞ্চাশ হাজার এবং দাঙ্গা বিরোধী কিট কেনার জন্য আরও তিন কোটি তিপ্পান্ন লাখ রুপি দাবি করা হয়েছিল । একইভাবে বিবিধ জিনিস ক্রয়ের জন্য চাওয়া হয়েছিল পঁয়তাল্লিশ লাখ রুপি । প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সংসদে বক্তৃতাকালে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সরকারী ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষায় তাদের প্রচেষ্টার জন্য রাজধানীর পুলিশ , রেঞ্জার্স , ফ্রন্টিয়ার কনস্ট্যাবুলারি এবং রাজধানী প্রশাসন এবং অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশকে প্রশংসা করেন । এদিকে আজাদি মার্চ সম্পর্কে ইমরান খান বলেন , দ্রুত আগাম নির্বাচন ঘোষণা না হলে তিনি আবার রাস্তায় নামবেন । আরও বলেন , আমাদের কর্মীরা জানতে চেয়েছিল , আমি কেন মঞ্চে থাকিনি । আপনাদের বলি , আমি সেই ব্যক্তি- যে কি – না ১২৬ দিন ধরে অবস্থান নিয়েছিলাম । কিন্তু এ পর্যায়ে আমি বুঝতে পেরেছিলাম , আমি এখানে থাকলে প্রচুর রক্তপাত হবে , আমার নেতা – কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এটা আমি চাইনি । ‘

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.