জনগণের সার্বিক বিকাশে দ্রুত এগোচ্ছে ডবল ইঞ্জিনের ত্রিপুরা।।

 জনগণের সার্বিক বিকাশে দ্রুত এগোচ্ছে ডবল ইঞ্জিনের ত্রিপুরা।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সমীক্ষা মোতাবেক উত্তর পূর্বের ছোট রাজ্য ত্রিপুরা জনগণের আর্থ সামাজিক, অর্থনৈতিক বিকাশে গত সাড়ে পাঁচ বছরে অনেকটাই এগিয়ে গেছে।মোদ্দা কথা,বিকাশের পথে ত্রিপুরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক দেশের প্রতিটি রাজ্যেই সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের সার্ভে করে।যেমন রাজ্য সরকারগুলি তাদের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম পর্যালোচনা করে।সাফল্য এবং ব্যর্থতার দিকগুলি খতিয়ে দেখে নতুন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং নতুন করে কাজের টার্গেট নির্ধারণ করে,তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকও রাজ্যগুলির কাজের সাফল্য এবং ঘাটতিগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করে।এর উপরই রাজ্যগুলির সাফল্যের খতিয়ান নির্ধারিত হয়। এগুলি চলমান প্রক্রিয়া। এতে কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই
সরকারের কাজের সাফল্য, ঘাটতি, ব্যর্থতা ইত্যাদি নিরুপণ করা হয়ে থাকে।কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সর্বশেষ প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক বহু ক্ষেত্রে রাজ্যের দ্রুত বিকাশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।যেমন,আধার কার্ড রূপায়ণে রাজ্যের সাফল্য ৯৪ শতাংশ।রাজ্যের শহর এলাকায় পাকা বাড়িতে বসবাস করে ৯৭.৮ শতাংশ পরিবার।এখনও ২.২ শতাংশ পরিবার (শহরে) কাঁচা বাড়িতে বসবাস করে। পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থায় মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকলেও ত্রিপুরায় এই সংখ্যাটা রয়েছে ৬৪.৭ শতাংশ।তপশিলি জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধের হার ত্রিপুরায় মাত্র ০.৩ শতাংশ।জনজাতি গোষ্ঠীর জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধের হার ত্রিপুরায় মাত্র ০.২ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় গ্রামীণ এলাকার ৯৭.৩৬ শতাংশ রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। ওই রাস্তাগুলি কোনও না কোনও বড় রাস্তার সাথে যুক্ত হয়েছে।রাজ্যের ৯১.০৫ শতাংশ মানুষের কাছে অন্তত একটি হলেও মোবাইল ফোন রয়েছে।ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট রয়েছে রাজ্যের ৯৬.৬ শতাংশ মহিলাদের।এক্ষেত্রে পুরুষদের টক্কর দিচ্ছেন মহিলারা।রাজ্যের একশ শতাংশ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে।রাজ্যের ৮২.৪শতাংশ পরিবার রান্নার জন্য পরিষ্কার জ্বালানি অর্থাৎ গ্যাস ব্যবহার করে।উন্মুক্ত জায়গায় মলত্যাগের হার ত্রিপুরায় শূন্য। এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মানুষ শৌচালয় ব্যবহার করেন।রাজ্যে ৭৬.৯ শতাংশ মহিলা নিজেরাই নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অপারেট করেন।রাজ্যের ৯০.৯ শতাংশ বিবাহিত মহিলা(১৫ থেকে ৪৯ বছর)পরিবারে বড় সিদ্ধান্ত নেন।রাজ্যে শিক্ষিত ব্যক্তির হার (১৫ বছর থেকে) ৮৯.৯ শতাংশ।রাজ্যে উচ্চ শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ৮৩ শতাংশ।রাজ্যে ৯৩.৫ শতাংশ গর্ভবতী মা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সন্তান প্রসব করেন।খাদ্য সুরক্ষা আইন (যোজনা)রূপায়ণে রাজ্যের সাফল্য ৯৯.৯৬ শতাংশ। এটি একশ শতাংশই বলা যায়।গর্ভবর্তী মায়েদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য মাতৃবন্ধন যোজনা বাস্তবায়নে ত্রিপুরার সাফল্য ৮৭ শতাংশ। এমজিএন রেগা প্রকল্পে কাজের দাবি করলে রাজ্যে ৯৭.৩শতাংশ মানুষ কাজ পায়।এমন আরও বেশ কিছু সাফল্যের খতিয়ান রয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় ত্রিপুরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।এটা যেমন রাজ্যের জন্য ইতিবাচক এবং খুশির দিক, তেমনি উদ্বেগের বিষয়ও রয়েছে।যা কঠোর হাতে মোকাবিলা করতে না পারলে আগামীদিন পরিণতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। যেমন রাজ্যে মাদকের ব্যবহার।রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার।এই দুটি বিষয় রাজ্যের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যের যুব সমাজ যেভাবে নেশার করাল গ্রাসে আবদ্ধ হচ্ছে এবং এর থেকেই হু হু করে বাড়ছে এইচআইভি সংক্রমণের হার। এইচআইভি সংক্রমণের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরা দেশের শীর্ষস্থানে পেঁছে গেছে,যা খুবই চিন্তার বিষয়।শুধু তাই নয়, রাজ্যে গন্ধহীন নেশার বাড়বাড়ন্ত এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.