সামান্য কমলো ইন্ডিগোর ভাড়া আটক কিছু যাত্রী ফিরছেন আজ!!

 সামান্য কমলো ইন্ডিগোর ভাড়া আটক কিছু যাত্রী ফিরছেন আজ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-গত এক সপ্তাহের বেশি দিন ধরে চলা কলকাতা থেকে আগরতলায় আসার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক লাগামছাড়া বিমান ভাড়া এখনও নেওয়া হচ্ছে।আর অস্বাভাবিক বিমান ভাড়া দাঁড়িয়ে থাকায় রাজ্যের বহু মানুষ কলকাতায় আটকে রয়েছেন।তবে শনিবারের বিমানে ভাড়া সামান্য কমাতেই আটক যাত্রীরা ফিরার জনা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।কেউ কেউ চিকিৎসা পর্ব শেষ করে ফিরছিলেন।আবার কেউ কেউ বহিঃরাজ্যে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে ফিরছিলেন। কেউ উচ্চ শিক্ষা শেষ করে ফিরছিলেন।নানা কাজে গিয়ে এখন ফিরছিলেন।নিকট আত্মীয়ের মৃত্যু সহ আরও নানা জরুরি কাজে ফিরছিলেন।কিন্তু বিমানে অস্বাভাবিক উঁচু ভাড়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে কলকাতায় আটকে রয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেছে শনিবারের জন্য একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বাদে ইন্ডিগোর বিমানে ভাড়া সামান্য কমেছে।এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে শনিবারের জন্য ১৩,৮০০টাকা থেকে ১৪০০০ টাকা ভাড়া টিকিট বিক্রি হয়েছে।এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে এগজিকিউটিভ ক্লাসের ভাড়া দাঁড়িয়ে রয়েছে বারো হাজার টাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেছে, ইন্ডিগোর বিমানে শনিবারের ভাড়া দাঁড়িয়ে রয়েছে আট হাজার টাকা থেকে নয় হাজার টাকায়।গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা থেকে আসতে ইন্ডিগোর বিমানের ভাড়া অর্থাৎ প্রতি টিকিটের মূল্য নেওয়া হয়েছে ষোল হাজার টাকা থেকে আঠারো হাজার টাকা বলে যাত্রীদের অভিযোগ।আর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আরও উঁচু ভাড়া নেওয়া হয়েছে। ষোল হাজার থেকে আঠারো হাজার টাকার পাশাপাশি বিমানের এগজিকিউটিভ ক্লাসের ভাড়া নেওয়া হয়েছে বাইশ হাজার টাকাও। ফলে সেই ক্ষেত্রে এখন শনিবারের ইন্ডিগোর বিমানে আসার ভাড়া কিছুটা কমেছে।তাতে কলকাতায় আটক যাত্রীরা এখন কলকাতায় আর বসে না থেকে ধারদেনা করে হলেও করে হলেও বিমানে আগরতলায় ফিরছেন।গত ক’দিন ধরে বিমানে অস্বাভাবিক উঁচু ও আকাশছোঁয়া ভাড়া নেওয়ার কারণেও টিকিট সঙ্কটে বহু মানুষ কলকাতায় আটকে গিয়েছিল।আটকে পড়ারা ত্রিপুরা ভবন ও বেসরকারী হোটেলে থেকে তাদের নাভিশ্বাস অবস্থায় পড়তে হয়।বেসরকারী হোটেলের থাকা খাওয়ার খরচ মেটাতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে গেছে।এখন ইন্ডিগোর বিমানে টিকিট সঙ্কট মিটতেই সামান্য ভাড়া কমতেই চরম দুর্ভোগে পড়া রাজ্যের যাত্রীরা ধারদেনা করে টিকিট নিয়ে শনিবার থেকে ফিরছেন। এদিকে কলকাতা থেকে রেলে আসতেও টিকিট সঙ্কট রয়েছে।ফলে বিমান টিকিট সঙ্কট ও বিমানে আকাশ ছোঁয়া ভাড়ায় যারা আটকে পড়েছেন রেলের রিজার্ভেশন কামড়ার টিকিট চেয়েও পাননি বলে আটক যাত্রীদের অভিযোগ।ফলে গৃহকর্তারা চিকিৎসা শেষ করে অসুস্থ রোগী সহ শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নিয়ে শুক্রবারও সকলে ফিরতে না পারায় চরম ও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এদিকে, ক্ষুব্ধ বিমানযাত্রী ও বিভিন্ন মহলে একটি প্রশ্ন বার বার উঠছে যে কলকাতা-আগরতলার মধ্যে আকাশ পথে এতো কম দূরত্ব (৩২৭ কিলোমিটার)থাকা সত্বেও কেন আকাশছোঁয়া যাত্রীর নাগালের বাইরে টিকিট মূল্য তথা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।দেশের আর কোনও আকাশ পথে এতো কম দূরত্বের মধ্যে ও কম সময়ের উড়ানে আকাশছোঁয়া নাগালের বাইরে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না।কিন্তু বিমানে একটু ভিড় বাড়লেই কখনও কলকাতা থেকে আসতে, আবার কখনও কলকাতায় যেতে দেশের মধ্যে একমাত্র এই রুটেই বিমান সংস্থাগুলি আকাশছোঁয়া লাগামছাড়া ভাড়া বার বার নিচ্ছে বলেও ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অভিযোগ। যাত্রীদের প্রশ্ন বিমান সংস্থাগুলি আকাশ পথে কত দূরত্বের রাস্তায় ও উড়ান সময়ে কত ভাড়া নেবে তা কে নির্ধারণ করে দিচ্ছে।বিমান সংস্থার লাভালাভে ভাড়া যদি মর্জিমাফিক নেয় তা হলে তাতো দেখার দায়িত্ব কেন্দ্ৰীয় সরকারের।কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক তা হলে কি করছে? বিমান সংস্থাগুলি যদি নিজেরাই লাভালাভের অঙ্ক কষে টিকিটের মূল্য তথা যাত্রী ভাড়া মর্জি মাফিক নির্ধারণ করে যাত্রী সাধারণের যথেচ্ছ পকেট কাটে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ দপ্তর, মন্ত্রক থেকেও তাতে কী লাভ হচ্ছে সেই প্রশ্ন উঠেছে যাত্রী ও বিভিন্ন মহল থেকে।নিষ্ক্রিয়, উদাসীন ও নির্বিকার কেন্দ্রীয় সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ দপ্তর তথা মন্ত্রকটিকে তুলে দিলেই চলে বলেও যাত্রী ও বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠছে।তা না হলে কেন ও কীভাবে বিমান সংস্থাগুলি মর্জি মাফিক স্বাধীনভাবে যথেচ্ছ চওড়া ভাড়া দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী সাধারণের পকেট কেটে ফাঁক করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি জোট সরকারের আমলে কেন্দ্র ও রাজ্য একই দলের সরকার থাকলেও বেলা স্বর দূরত্রের ও স্বপ্ন উড়ান সময়ের জন্য এইভাবে আকাশছোঁয়া ভাড়া অসহায় যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে দিনের পর দিন আদায় করে নিচ্ছে তা নিয়েও ক্ষুব্ধ রাজ্যের যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন।রাজ্যের মানুষ কেউ শকে বিমান চড়েন না। চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি কাজে,উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য, আরও নানা জরুরি কাজে বিমানে চড়েন।রেলের অপ্রতুলতায় ও রেলে কলকাতা ও বহিঃরাজ্যে যাতায়াতে অনেক সময় লেগে যায় বলে রাজ্যের মানুষ বাধ্য হয়ে বিমানে যাতায়াত করেন। ডবল ইঞ্জিন সরকারের কাছে রাজ্যের অসহায় যাত্রীদের
দাবি গুরুত্ব দিয়ে বিমান পরিষেবা ও উঁচু ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি দেখার জন্য।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.