বাজপাখিদের জন্য ৮০টি বিমান টিকিট কিনলেন সৌদির যুবরাজ!!
অনলাইন প্রতিনিধি:-এ ছবি দেখলে যে কেউ হতবাক হতে বাধ্য।কোনওদিন দেখেছেন,
বিমানে পরের পর আসন অলঙ্কৃত করে আছে বাজপাখিরা।কিন্তু রাজার, থুড়ি যুবরাজের খেয়াল বলে কথা!তবে এ দৃশ্য এআই প্রযুক্তির সাজানো নয়, বরং আসল।সম্প্রতি কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানের ৮০টি টিকিট নিজের পোষ্য বাজপাখিদের জন্য কিনে নেন সৌদি আরবের যুবরাজ।যদিও এ ছবি সামনে আসার পর বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে।এভাবে পাখিদের জন্য বিমানের মহার্ঘ আসন বুক করা যায় কি না,পাখিদের নিয়ে বিমানে চড়া যায় কি না, স্বভাবতই শুরু হয়েছে বিতর্ক সৌদি আরবের যুবরাজ সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে যান ৮০টি বাজপাখি।তবে একটি পাখিকেও তিনি খাঁচায় বন্দি করে নিয়ে যাননি।প্রতিটি বাজপাখির জন্য বিমানের একটি করে আসন বরাদ্দ ছিল।তিনি প্রতিটি পাখির জন্য টিকিট কেটেছিলেন, যাতে পোষ্য পাখিরা আরামে ও নিরাপদে সফর করতে পারে।প্রতিটি পাখির মাথায় ছিল হুড,যাতে এরা ওড়াউড়ি করতে না পারে,সে জন্য দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল।তবে এই ছবি কবে তোলা হয়েছিল, জানা যায়নি।সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে সামনে এসেছে এই খবর। পাশাপাশি, সমাজমাধ্যম রেডিট-এ লেনসো নামের একজন ব্যবহারকারী ওই ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার ক্যাপ্টেন বন্ধু ছবিটি আমাকে পাঠিয়েছেন। ছবির ক্যাপশন লেখা, ‘সৌদি প্রিন্স তার ৮০টি বাজপাখির জন্য টিকিট কিনেছেন।এ ঘটনায় অনেকে অবাক হতে পারেন। তবে সিএন ট্রাভেলারের খবরে বলা হয়, বাজপাখিদের বিমানে করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কিছু নয়।বাজপাখির মতো শিকারি পাখিদের খেলা আরব উপদ্বীপে সহস্র বছরের পুরোনো ঐতিহ্য।আসলে এই খেলা আরও বিশেষ হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে,এই পাখিদের নিজস্ব পাসপোর্ট থাকে।ফলে তারা মনিবের সঙ্গে দেশের বাইরে যেতে পারে।সাধারণত শিকার বা ফ্যালকোনারি প্রতিযোগিতা থাকলেই এদের বাইরে নিয়ে যান মালিকেরা।কাতার এয়ারওয়েজ প্রতি যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ ছয়টি বাজপাখি নেওয়ার অনুমতি দেয়। গিজমোদোর খবরে বলা হয়, ইত্তেহাদ এয়ারওয়েজ মূল কেবিনে বা চেকড় ব্যাগেজ হিসেবেও বাজপাখি নিতে দেয়।সংযুক্ত আরব আমিরশাহির জাতীয় পাখি বাজপাখি।এ থেকেই বোঝা যায়, কেন বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় এয়ারলাইনসে এই পাখিদের পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।