ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ বানিয়ে দিয়েছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী!

 ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ বানিয়ে দিয়েছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি: ২০২২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে সূচনা হয়েছিল আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজের। আজ অর্থাৎ সোমবার এই আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজের প্রথম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রফেসর ড: মানিক সাহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব সন্দীপ আর রাঠোর, আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড: শালু রাই সহ অন্যান্যরা।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন এই ডেন্টাল কলেজ যা প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে পূরণ হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের কথা ভাবছেন তা কাজের মাধ্যমেই প্রকাশ পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নত না হওয়া পর্যন্ত ভারতবর্ষের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শুধু হীরা মডেল নয়, আমাদের হীরা প্লাস দিয়েছেন তিনি যেন উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নতির শিখরে পৌঁছোতে পারে। কর্পোরেট স্টাইল হাসপাতাল হচ্ছে এখন যা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের শপথের জন্যই সম্ভব হচ্ছে।এদিন রীতিমতো নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন মুখ্যমন্ত্রী।এছাড়াও তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে যেন এই ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা না হয়। কিন্তু কোনো চক্রান্তই কাজে আসে নি। সমস্ত বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। তাছাড়া এই কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ বানিয়ে দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি এদিন নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও তিনি প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বপ্ন দেখা প্রয়োজন। স্বপ্ন দেখলে তবেই তা পূরণ হবে। আর যে কোনো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেষ্টার প্রয়োজন। চেষ্টা করলে সমস্ত কিছুই সম্ভব।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, আগামীদিনে কলেজের আসন সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বিডিএস এর পর এমডিএসও করা হবে। এছাড়াও ছেলে-মেয়েদের জন্য হোস্টেলও গড়ে তোলা হবে। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি সপ্তাহের বুধবার যে ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ করা হয় সেটিও সম্পূর্ণভাবে সফল। সর্বোপরি আগামীদিনে এই কলেজকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স ও গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করার আহবান জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.