প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ৪ মাস অন্তর ৪ জেলাভিত্তিক রিভিউ মিটিং মন্ত্রীর!!

 প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ৪ মাস অন্তর ৪ জেলাভিত্তিক রিভিউ মিটিং মন্ত্রীর!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতি চার মাস অন্তর নিজ দপ্তরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে জেলাভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ, মৎস্য এবং তপশিলি জাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস। সেই প্রতিশ্রুতি মোতাবেক মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণ জেলায় তিন দপ্তরের জেলাভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠক করলেন মন্ত্রী শ্রী দাস। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা জেলার জন্য যতটা বরাদ্দ হয়েছে, সেই বরাদ্দ মানুষের কাছে পৌঁছেছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। যেখানে প্রত্যাশামতো সাফল্য আসেনি, সেই বিষয়েও খোঁজ নেন। কেন প্রত্যাশামতো কাজ করা যায়নি? কারণ অনুসন্ধান করে দ্রুত রূপায়ণের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন জেলার কর্মরত প্রাণী চিকিৎসকদের সাথেও। মন্ত্রী বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গ্রামীণ মানুষের আর্থিক অবস্থা সচল ও সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন গৃহপালিত প্রাণীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই চিকিৎসকদের কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী পালক সম্মাননিধি প্রকল্প দক্ষিণ জেলাতেও আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মন্ত্রী। এছাড়াও তিনটি হোস্টেল পরিদর্শন করেন এবং হোস্টেলের সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলার সমস্ত তপশিলি ছাত্রছাত্রী যারা স্কলারশিপ পাবে, তাদের নাম স্কলারশিপ পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।মঙ্গলবার বিলোনীয়ার সার্কিট হাউসে প্রাণীসম্পদ বিকাশ, মৎস্য ও তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক এক পর্যালোচনা সভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশমন্ত্রী সুধাংশু দাস আরও বলেন, প্রাণীসম্পদ বিকাশ, মৎস্য ও তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা জেলার প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এই কাজে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের দায়িত্ব দায়িত্ব নিয়ে পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে হবে। প্রকল্পগুলির সুফল জনগণ পাচ্ছে কিনা সেদিকে দপ্তর আধিকারিকদের নজর রাখতে হবে। পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মাইলাফ্রু মগ, বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, বিধায়ক অশোক মিত্র,শান্তিরবাজার ও বিলোনীয়া পুরপরিষদের এবং সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সনগণ। বুধবার বিলোনীয়ার পুরাতন টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রী প্রাণীপালক সম্মাননিধি প্রকল্পে লাভার্থীদের সম্মাননা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশমন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, প্রাণীপালকদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে রাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর প্রাণীপালকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রাণীসম্পদ বিকাশমন্ত্রী সুধাংশু দাস আরও বলেন, প্রাণীজ খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রাণী স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রাণীপালকদের প্রাণী বিমার সুযোগ ও কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রাণীপালকদের সহায়তায় ৯টি প্রকল্প চালু করেছে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রাণীপালক সম্মাননিধি প্রকল্পে রাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর এমন ২ হাজার ৯০০ জন প্রাণীপালককে সহায়তা দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.