ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল ফের শুরু
দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর রবিবার সকালে ঢাকা থেকে কলকাতা গেল যাত্রীবাহী ট্রেন। মৈত্রী এক্সপ্রেসের প্রথম ট্রেনে ঢাকা থেকে কলকাতা গেলেন ১৭০ জন যাত্রী। প্রচারণা কম থাকায় প্রথমদিন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে কলকাতা গেছে ট্রেনটি। একই অবস্থা খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেসের। মাত্র ১৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে খুলনায় এসেছে বন্ধন এক্সপ্রেসের প্রথম ট্রেন। ফিরে গেছে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে। তবে ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ের সময় কম হওইয়া ও ভারতের ভিসা দেরিতে দেওয়ায় যাত্রী কিছুতা কম হয়েছে বলে রেলওয়ে সুত্র জানায়। দীর্ঘ বিরতির পর রবিবার সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার। এ সময় তিনি যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় রেলওয়ে ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, প্রচারণা কম থাকায় প্রথম ট্রেনে যাত্রি কিছুটা কম হয়েছে। তবে এখন থেকে সপ্তাহে ৫ দিন চলবে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ট্রেনটিতে মোট আসন রয়েছে ৪৫৬ টি। তবে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ট্রেন করে ভারতগামী যাত্রীরা আনন্দিত ছিলেন।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের ম্যানেজার লিটন চন্দ্র দে জানান, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে রবিবার সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করেছে। বিকাল ৪ টায় ট্রেনটি কলকাতা স্টেশনে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। সোমবার আবার কলকাতা থেকে যাত্রী নিয়ে বিকেল ৪ টায় ঢাকায় আসবে। রেলওয়ে সূত্র জানায় ঢাকা থেকে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার এবং কলকাতা থেকে রবিবার ও বৃহস্পতিবার মৈত্রী ট্রেন বন্ধ থাকবে। করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী আন্তর্দেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ১৯ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতা থেকে খুলনা স্টেশনে পৌঁছায় বন্ধন এক্সপ্রেস। এরপর দুপুর দেড়টায় ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এবিষয়ে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ১৯ জন যাত্রী নিয়ে ২০ মিনিট দেরিতে দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি খুলনা স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। তবে নিরধারিত সময় বেলা দেড়টায় ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে সেটি আবার কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।