উইকএন্ড টুরিস্ট হাব,যানজট এড়াতে প্রত্যাহার করতে হলো নো এন্ট্রি জোন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-অবশেষে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো উইকএন্ড টুরিস্ট-হাব এর ‘নো ভেহিকল জোন’।মঙ্গলবার পশ্চিম জেলাশাসক এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদ জানিয়েছেন। ফলে এখন থেকে শনি এবং রবিবার বিকাল ৩ টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত উজ্জয়ন্ত প্যালেসের সামনে দিয়ে যানবহান চলাচলে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। উল্লেখ্য, রাজ্য পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে সপ্তাহের দুইদিন শনি ও রবিবার রাজধানীর উজ্জয়ন্ত প্যালেসের সামনের এলাকাটিকে উইকএন্ড টুরিস্ট হাব হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।এরজন্য সপ্তাহের ওই দুইদিন বিকাল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ি থেকে রবীন্দ্রভবন চৌমুহনী এবং জ্যাকসন গেট ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে উজ্জয়ন্ত প্যালেস পর্যন্ত রাস্তায় সমস্ত ধরনের যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।এখন প্রশ্ন হলো,উইকএন্ড টুরিস্ট হাব ঘটা করে চালু করার পর,তা আবার প্রত্যাহার করা হলো কেন?পর্যটন বিকাশে উইকএন্ড টুরিস্ট হাবকে কেন্দ্র করে ওই এলাকাটিকে নানাভাবে সাজিয়ে তোলার কথা বলা হয়েছিলো।যাতে পর্যটনের পাশাপাশি রোজগারেরও ব্যবস্থা করা যায়।কিন্তু উইকএন্ড টুরিস্ট হাব চালু হওয়ার পর মাস তিনেক চললেও,ওই এলাকাটিকে সাজিয়ে তোলার কোনও উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।শুধু তাই নয়, উইকএন্ড টুরিস্ট হাবকে কেন্দ্র করে রাজধানী শহরের প্রাণকেন্দ্রে এবং চূড়ান্ত ব্যস্ততম এলাকায় সপ্তাহের দুইদিন বিকাল থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করায় গোটা শহরে মারাত্মকভাবে যানজটের সৃষ্টি হয়।কেননা উজ্জয়ন্ত প্যালেসের সামনে রাস্তাটি বন্ধ থাকায়,শহরের অন্য রাস্তায় যানবাহনের চাপ মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। এতে ঘন্টার পর ঘন্টা জনগণকে যানজটে আটকে থাকতে হতো।এমনিতেই শহরের রাস্তাগুলি ছোট।তার মধ্যে অর্ধেক রাস্তা পার্কিং এবং ফুটপাথ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকে।ফলে পরিস্থিতিটা স্বাভাবিক ভাবেই অনুমেয়।এতে ক’দিন যেতে না যেতেই ‘উইকএন্ড টুরিস্ট হাব’ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হতে থাকে।বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুজোর আগে মৌখিকভাবে নো ভেহিকেল জোন তুলে দেওয়া হয়।সেই থেকে আগের মতোই চলছে।মঙ্গলবার পাকাপাকিভাবে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন,পুলিশ এবং ট্রাফিক দপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা তাহলে সরকারকে কী পরামর্শ দিলো?তারা কি জানতেন না, শহরের এমন একটি ব্যস্ততম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মাঝখানে বন্ধ করে দিলে, গোটা শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে? শহরে নজিরবিহীন যানজট সৃষ্টি হবে?জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে উঠবে?