রেলে দুর্গন্ধময় পরিবেশ, যাত্রীরা ক্ষুব্ধ!!

 রেলে দুর্গন্ধময় পরিবেশ, যাত্রীরা ক্ষুব্ধ!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের রেল যাত্রীদের দুর্ভোগে যেন লাগাম পড়তে চাইছে না কিছুতেই।নানা দিক থেকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের রেল যাত্রীদের।নিরাপত্তাজনিত সংকটের পাশাপাশি পানীয় জল সহ শৌচাগারের সমস্যা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ক্ষেত্রে।রাজ্যের প্রধান রেল স্টেশন আগরতলা সহ আগরতলার উত্তর,দক্ষিণের ধর্মনগর ও সাব্রুম এবং উভয় দিকের অন্যান্য স্টেশনগুলিতে এই সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।তবে তার চেয়েও বড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেমু এবং অন্যান্য স্থানীয় পর্যায়ের লোকাল ট্রেন ও দূরপাল্লার ট্রেনের দুর্গন্ধময় পরিবেশ।দুর্গন্ধে ভরা,নোংরা আবর্জনামুক্ত ট্রেনের কোচের কারণে যাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার উপক্রম হয়ে চলছে। মাঝেমধ্যে অনেকে এই কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ঘটনা ঘিরে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ক্ষোভ।রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।জানা গেছে,সমস্যার মূলে রয়েছে ট্রেনের সাফাই কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার গাফিলতি।একই সঙ্গে ঠিকাদার সংস্থার কাজ দেখভালের দায়িত্বে আধিকারিকের দায়সারা
মনোভাব রয়েছে বলে অভিযোগ।এই দুইয়ের যোগফল হিসাবে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। নিত্য দুর্বিসহ গঞ্জনা সইতে হচ্ছে ডেমু সহ অন্যান্য স্থানীয় ও দূরপাল্লার ট্রেনে চলাচল করতে গিয়ে।নিত্য দুর্ভোগ সহ্য করতে বাধ্য হওয়া রেল যাত্রীদের বক্তব্য পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ থাকে ডেমু ট্রেনগুলিতে।এসব ট্রেনের কোচ নিয়মিত সাফাই হয় না বলে তাদের ধারণা।আর সাফাই হয়ে থাকলেও শেষ কবে হয়েছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।কেন না নিয়মিত অথবা দীর্ঘ বিরতি ছাড়া ট্রেনের কোচ সাফাই সহ ধোয়ামোছা হয়ে থাকলে তার থেকে এতো দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়তো না। এমনিতে ডেমু ট্রেনের কোচগুলিতে প্রতিপাশে একটি করে দুই দিকে দুইটি শৌচাগার থাকে।দূরপাল্লা সহ অন্য প্রচলিত ট্রেনের কোচের এক দিকে দুইটি দুইদিকে মোট চারটি কোচ থাকে।ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই ডেমু ট্রেনের শৌচাগারগুলির উপর চাপ পড়ে বেশি।একই কারণে এগুলি তুলনায় দ্রুত নোংরা আবর্জনা যুক্ত হয়ে যায়।তার উপর এগুলি নিয়ম মাফিক নিয়মিত সাফাই করার মাধ্যমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার উপর জোর না দেওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়।দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ে ট্রেনে।বিশেষত্ত কোচের শৌচাগারের কাছাকাছি অংশের আসনে বসা অথবা দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের পেটের ভাত বের হয়ে আসার উপক্রম হয়।অনেকেই নিজেকে সামলাতে না পেরে ট্রেনে বমি করে দিতে বাধ্য হন।নিয়ম অনুসারে প্রতিবার যাত্রা শেষে ট্রেনের কোচগুলি সাবানজল সহ নানা উপাদানে সাফাই করার কথা।ডেমু সহ স্থানীয় পর্যায়ের লোকাল ট্রেনে এই কাজ হওয়ার প্রতিদিনের যাত্রা শেষে।ডেমু সহ আগরতলার সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী দূরপাল্লার অন্যসব ট্রেনের আগরতলার দিকে যাত্রা শেষে সাফাই হওয়ার কথা এই স্টেশনেই।এরজন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিঙ বিভাগের তরফে নির্দিষ্ট চুক্তি রয়েছে ঠিকাদার সংস্থার।ঠিকাদার সংস্থার কাজকর্ম তদারকের জন্য দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে রেলের কোচ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের উপর। অভিযোগ,ঘাটতি রয়েছে এখানেই।ঠিকাদার সংস্থা ঠিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করছে না।ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকেরও নজর নেই এদিকে।আবার রেলের বিভাগীয় আধিকারিক এনিয়ে রয়েছেন উদাসীন এসবের যোগসূত্র হিসাবে ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়ে চলছে। রেলের শৌচাগার সহ কোচগুলি নিয়মিত সাফাই হচ্ছে না। নজর দেওয়া হচ্ছে না পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার উপর।ফলে শৌচাগার সহ পুরো ট্রেনের কোচ হয়ে থাকছে অস্বাস্থ্যকর।এক্ষেত্রে একাংশ যাত্রীও বহুলাংশে দায়ী বলে খবর।যাত্রীদের ক্ষুদ্র এই অংশটি নানাভাবে নিয়মিত নোংরা করা ফেলছে ‘স্টেশন সহ ট্রেনের কোচ। তারা বিশেষত ট্রেনের শৌচাগারগুলি নোংরা আবর্জনাযুক্ত করে রাখছে। রেলের আইন অনুসারে তাদের কাজ থেকে এরজন্য জরিমানা আদায়ের সংস্থান রয়েছে।গুরুত্ব পাচ্ছে না জরিমানা আদায়ের দিকটি। এসবের ফল হিসাবে যাত্রী ক্ষোভ বাড়ার পাশাপাশি বদনাম হচ্ছে সীমান্ত রেলের। এই বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হয় সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচি দের সঙ্গে।তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের গোচরে নেবেন বলে জানান।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.