অবৈধ উপায়ে ব্যবসার অভিযোগে পাইকারি ও স্টকিস্ট চালের দোকানে তালা!!

 অবৈধ উপায়ে ব্যবসার অভিযোগে পাইকারি ও স্টকিস্ট চালের দোকানে তালা!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-সদরের এনফোর্সমেন্ট টিম বুধবারও মহারাজগঞ্জ বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে ও অবৈধ উপায়ে ব্যবসা করার বিরুদ্ধে অভিযান করেছে।এনফোর্সমেন্ট টিমের অফিসাররা অবৈধ উপায়ে ব্যবসা করায় একটি পাইকারি চালের দোকান কাম স্টকিস্ট দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।সকালে এনফোর্সমেন্ট এনফোর্সমেন্ট টিমের অফিসাররা মহারাজগঞ্জ বাজারে গিয়ে প্রথমে চালবোঝাই করে নেওয়ার সময় একটি রিকশাকে আটকিয়ে চাল ক্রয় করার ক্যাশমেমো চায়।কিন্তু রিকশা চালক ও চাল ক্রয় করে নেওয়া চালের মালিক ক্রয়ের ক্যাশমেমো দেখাতে পারেননি।তারপর এনফোর্সমেন্ট টিম পাইকারি ও স্টকিস্ট চালের দোকান মেসার্স শংকর ভাণ্ডারে যায়। সেখানে গিয়ে অবৈধ উপায়ে রমরমা ব্যবসার কারবার দেখে এনফোর্সমেন্ট টিমের অফিসারদের চক্ষু চড়ক গাছ।প্রথমত দোকানের মালিক এনফোর্সমেন্ট টিমকে দোকান কাম গুদামে চালের স্টকের পরিমাণ কত রয়েছে তা জানাতে পারেননি।দোকানে মূল্য তালিকাও নেই। তারপর অবৈধ যে বিষয়টি অভিযানকারী অফিসারদের নজরে পড়েছে তা হলো গুদামে খোলা চাল বস্তায় বস্তায় ভরে বস্তার মুখ সেলাই করে আটকে দিয়ে বাজারজাত করা।গুদামে বহু পুরানো ডেমেজ বা নষ্ট খোলা চালের সঙ্গে পাশাপাশি ভালো খোলা চাল মজুত করে রেখে দেওয়া।তাতে এনফোর্সমেন্ট টিমের সন্দেহ হয় নষ্ট চাল ও ভালো চাল মিশিয়ে অবৈধ উপায়ে বস্তায় ভরে বস্তা সেলাই করে চাল বাজারজাত করছে।বহি:রাজ্যের এসব চালের বস্তায় যেভাবে চাল আসে ও দোকানে বিক্রি হয় সেভাবেই খোলা চাল ভরে বস্তা সেলাই করা হচ্ছে।খোলা চাল ভরে বস্তা সেলাই করার জন্য যে পেকেট লাইসেন্স দরকার সেই লাইসেন্সও নেই দোকান মালিক প্রমোদ সাহার।সেসব অবৈধ উপায়ে ব্যবসা করার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট টিম দোকান কাম গুদামে তালা ঝুলিয়ে দেয়।যেভাবে খোলা নষ্ট ডেমেজ চালের পাশাপাশি ভালো চাল রেখে বস্তায় ভরে বস্তা সেলাই করে বাজারজাত করছে তাতে এনফোর্সমেন্ট
টিমের সন্দেহ হওয়ায় গুদামের বস্তা বস্তা চালের কিছু বস্তার চাল ফুড সেপটি বিভাগে এখন পরীক্ষা করবে। ক্রেতাদের ঠকাতে ভেজাল ও নষ্ট চাল মিশিয়ে বস্তাগুলিতে ঢুকানো হয়েছে কি না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চালের গুণাগুণ বা খাবারের উপযুক্ত কি না তা পরীক্ষা করে দেখবে ফুড সেপটি বিভাগ ও লিগ্যাল মেট্রোলজি বিভাগ।চালের নমুনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ল্যাবে এই পরীক্ষা করবে।বুধবার সদর মহকুমাশাসক অরূপ দেব চাল দোকান কাম গুদামের মালিককে আগামী ৫ জানুয়ারী বেলা ১টায় সদর মহকুমা অফিসে উপস্থিত থেকে কেন দোকান কাম গুদামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছেন।তারপরই আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দিকে এগোবে সদর মহকুমাশাসক।এ দিনের অভিযানে ছিলেন সদর ডিসিএম ব্রজেন্দ্র ত্রিপুরা, লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তরের ইনস্পেক্টর সৌভিক বর্ধন, সদর খাদ্য কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিক,খাদ্য মুখ্য ইনস্পেক্টর দেবজ্যোতি চক্রবর্তী,লিগ্যাল মেট্রোলজির রজত দেববর্মা প্রমুখ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.