সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলে অপপ্রচারের নিন্দা জানালেন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রির ঘটনার খবরে তোলপাড় রাজ্য প্রশাসনে।পরে দেখা যায় সন্তান বিক্রির খবর পুরোটাই ভুয়ো এবং জলজ্যান্ত মিথ্যা।
একেবারে পরিকল্পিত এবং বদ উদ্দেশ্যেই সন্তান বিক্রির ভুয়ো খবর ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।তিনি এই ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান।শুধু তাই নয়, এই ধরনের অপপ্রচার ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত এবং সরকারকে কালিমালিপ্ত করার জন্য তিনি বিরোধী দল সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলেন ৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, দক্ষিণ জেলার জোলাইবাড়ি ব্লকের আভাংছড়া ভিলেজের রামরাইবাড়ি রোয়াজা পাড়ার বাসিন্দা লক্ষ্মীরাম ত্রিপুরার স্ত্রী কর্মতি ত্রিপুরা গত ২১ডিসেম্বর জিবি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।গর্ভবতী থাকাকালীন কর্মতি ত্রিপুরা অসুস্থ ছিলেন।সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াবেন এই পরিস্থিতি পর্যন্ত ছিল না।এই পরিস্থিতিতে সদ্যোজাত শিশুটির লালন পালন এবং যত্নের জন্য কর্মতি ত্রিপুরা তার পুত্র সন্তানকে তারই নিকট আত্মীয় অর্থাৎ কর্মতি ত্রিপুরার ননদ মুনিরুং ত্রিপুরার কাছে দেয়।কিন্তু দুর্ভাগ্য কর্মতি ত্রিপুরা আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেননি।সন্তান জন্মের পর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে।চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কর্মতি ত্রিপুরাকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্মতি ত্রিপুরার জিবি হাসপাতালে মৃত্যু হয়।এই ঘটনাকেই পরবর্তীকালে অভাবের তাড়নায় শিশু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে একটি মহল থেকে প্রচার শুরু করা হয়।বৃহস্পতিবার দুই একটি সংবাদপত্রে সেই খবর প্রকাশিত হয়।
এই খবর দেখেই এদিন সকালেই জোলাইবাড়ির বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, শান্তিরবাজার এবং মনুর দুই বিধায়ক, রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, শাস্তিরবাজার মহকুমা শাসক, দক্ষিণ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ একঝাক প্রশাসনিক আধিকারিক আভাংছড়ায় লক্ষ্মীরাম ত্রিপুরা এবং প্রয়াত কর্মতি ত্রিপুরার বাড়িতে যায়। পরিবারের সাথে কথা বলার পর পুরো বিষয়টি সামনে আসে এবং সন্তান বিক্রির ঘটনা পুরোপুরি অসত্য বলে দাবি করে পরিবারের লোকজনেরা।পিতা লক্ষ্মীরাম ত্রিপুরার কাছেই রয়েছে তাদের পুত্র সন্তানটি।বাড়িতে যাওয়ার পর দেখা যায় লক্ষ্মীরামের বাড়িতেই রয়েছে তিনটি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর, বিদ্যুৎ,জল সবই রয়েছে।রয়েছে রেশন কার্ড। পরিবারে তেমন কোনও অভাব নেই।মোটামুটি স্বচ্ছল পরিবার।স্ত্রী’র অকাল মৃত্যুর পর লক্ষ্মীরাম নিজেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।প্রকৃত ঘটনা জানার পর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সংবাদ মাধ্যমের সামনে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং এই ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানান।তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকারকে বদনাম করতেই এই ধরনের অপপ্রচারকে হাতিয়ার করেছে সিপিএম। কিন্তু রাজ্যবাসী তাদের সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল।এই ধরনের মিথ্যা বদনাম করে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে বদনাম করা যাবে না।এদিকে, বাম বিধায়ক দীপঙ্কর সেন সহ সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দলও এদিন আভাংছড়া লক্ষ্মীরাম ত্রিপুরার বাড়িতে যায়।