শুক্রবার,বাংলাদেশে ভোটের সরব প্রচার শেষ হচ্ছে।।

 শুক্রবার,বাংলাদেশে ভোটের সরব প্রচার শেষ হচ্ছে।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী,২৯৯ আসনে ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন এবং তারা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী।আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ৪৩৬ জন।তবে দেশে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ ১৬ রাজনৈতিক দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভোট ঠেকানোর আন্দোলন করছে।তাদের দাবি বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।এসব কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে
আসতে আগ্রহী নয়।এছাড়াও গত কিছুদিন ধরে নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সংঘাত হয়েছে। নির্বাচনের দিন এ হাঙ্গামা আরো বাড়তে পারে।এ আশঙ্কায় অনেক সাধারণ ভোটার ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে নাও যেতে পারেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন।ভোটার যদি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে না আসেন তবে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়ায় ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করাই এখন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় দেশে-বিদেশে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে গলদঘর্ম হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোকেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।তাদের মতে, সব রাজনৈতিক দল না এলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, যদি মানুষ ব্যাপক হারে ভোটকেন্দ্রে আসে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনাররা বিভিন্ন সময়ে বক্তৃতায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।এক মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ভোটারের অংশগ্রহণই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। জনগণ যদি ভোট দেয়, সেটিই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন।নির্বাচনে কে এলো, কে না এলো-সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়।আমাদের সঙ্গে ৪৪টি দল নিবন্ধিত আছে,নির্বাচনে অংশ নেবেন, সেজন্যই তারা নিবন্ধিত হয়েছেন।এখন কেউ যদি না আসে আমাদের কিছু করার নেই।সাধারণ মানুষ ভোট দিলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বলে গণ্য হবে।এমন আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়িয়ে দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য করতে চায় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে না এলে ভোটারদের আগ্রহে ভাটা পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিরোধী দলের বর্জনে ভোটের পরিবেশ সহিংস হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করে সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করাটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এদিকে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে।বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আসনের প্রার্থী নির্বাচনি এলাকায় শেষ জনসভা করেছেন।আজ সকাল ৮টার পর কোনো প্রার্থী জনসভা, পথসভা, মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না।তবে নির্বাচনি প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালাতে পারবেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)-এর ৭৮ ধারায় নির্বাচনে প্রচারের সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘন্টা এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় জনসভা আহ্বান,অন্য কারও জনসভায় অংশ নেওয়া যাবে না।এমনকী মিছিল, শোভাযাত্রা বা এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজন বা অংশগ্রহণ কোনোটিই করা যাবে না।ইতিমধ্যেই ভোটের দিন উপলক্ষে ওইদিন সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।৭ জানুয়ারী সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।তার আগের ৪৮ ঘন্টা হিসাবে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ হয়ে
যাবে।ওই সময়ের পর ভোট চেয়ে মাইকিংও করা যাবে না। এদিকে প্রচারের শেষদিকে বৃহস্পতিবার দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তারা ভোট চেয়েছেন। এদিকে, নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনের ভোট গ্রহণ বাতিল করেছে ইসি।ফলে দেশের ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৯৯ আসনে ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন এবং তারা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী।আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ৪৩৬ জন।বিএনপিসহ নিবন্ধিত ১৬ রাজনৈতিক দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভোট ঠেকানোর আন্দোলনে রয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.