সংকল্প যাত্রা, ১ বছরে ইউরিয়া খরচ কমেছে ৩০০০ মেট্রিক টন!!

 সংকল্প যাত্রা, ১ বছরে ইউরিয়া খরচ কমেছে ৩০০০ মেট্রিক টন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিকশিত ভারত
সংকল্প যাত্রা কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়নের ফলে জনসাধারণের অভিযোগের মাত্রা তলানিতে নেমে আসছে।পাবলিক গ্রিভেন্স সিস্টেমে সাধারণ মানুষকে এখন অভিযোগ জানাতে হচ্ছে না।সরকারী বুনিয়াদি সুবিধাগুলো নেওয়ার জন্য তাদের মাইলের পর মাইল হেঁটে সরকারী অফিসে যেতে হয় না।সরকারী আধিকারিকদের মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিতে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হচ্ছে না।বারাণসী এবং সংলগ্ন জেলাগুলির বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত কর্মসূচিতে স্থানীয় মানুষ এবং সুবিধাভোগীগণ এমনই বললেন।বারাণসীর মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিক হিমাংশু নাগপাল ত্রিপুরার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনি ক্ষেত্র বারাণসীতে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা কর্মসূচির বিষয়ে বিস্তৃত পরিসরে অবহিত করেন।বারাণসীর সিডিও শ্রীনাগপাল বলেন,’আগে আইজিআরএসে পাবলিক গ্রিভেন্স সিস্টেমের প্ল্যাটফর্মে দুশোটি অভিযোগ পাওয়া যেতো।এখন সেই অভিযোগগুলি কমে এসেছে। বিকশিত ভারত অভিযান গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার ফলেই লোকেরা বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল এবং বিভিন্ন সুবিধাও পেতে শুরু করেছে।সরকারী স্কিমের সুযোগ পাচ্ছে তাই অভিযোগমুখী হচ্ছেন না। বিভিন্ন সুবিধা পেতে বা সরকারী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য একশো কিলোমিটারও যেতে হয়েছিল।এই যাত্রার কার্যকর বাস্তবায়নের ফলে মানুষ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা তাদের দোরগোড়ায় পাচ্ছে। বারাণসীর সিডিও জানান, সরকারী স্কিমগুলোর মাধ্যমে জনগণের সেবা করাই নয়, বারাণসীতে ভিবিএসওয়াই ক্যাম্পগুলির স্বতন্ত্রতা ন্যানো ইউরিয়া এবং জৈব চাষের ব্যবহার সম্পর্কেও সচেতনতা তৈরি করছে।বারাণসীর চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিমাংশু নাগপাল বলেছেন, যে গত এক বছরে তিন হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া খরচ কমেছে।যার কারণ হলো ‘ড্রোন সখীদের’ ড্রোনের মাধ্যমে ন্যানো ইউরিয়ার ব্যবহার এবং জৈব চাষ।তিনি জানান,ভিবিএসওয়াইয়ের প্রতিটি ক্যাম্পে দুটি করে স্টল ছিল।অন্যান্য স্টল ছাড়াও ন্যানো ইউরিয়া এবং জৈব চাষ সম্পর্কে যাতে কৃষকদের মধ্যে সেখানে ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা যায় এবং কীভাবে ইউরিয়া কম ব্যবহার এবং ন্যানো ইউরিয়া ব্যবহারের সাথে আরও জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও
বেশি ফলন এবং মাটির স্বাস্থ্য ভালো হতে পারে।ঝাড়খন্ডের খুন্তি থেকে গত পনেরো নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারা পতাকাবাহী, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার লক্ষ্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং স্কিমগুলির একশো শতাংশ স্যাচুয়েশন নিশ্চিত করতে ‘জন ভাগীদারি’এর চেতনায় তাদের অংশগ্রহণ চাই।এটি ভারত সরকারের সর্বকালের সর্ববৃহৎ আউটরিচ উদ্যোগ এবং ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ সালের মধ্যে
সারা দেশে দুই কোটি ষাট লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং চার হাজারের বেশি শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলোকে কভার করবে। তিনি জানান, বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা শুধুমাত্র একটি প্রতিশ্রুতিই নয়,বাস্তবসম্মত একটি যাত্রা।প্রায় ছেচল্লিশ লক্ষ জনসংখ্যার বারাণসীতে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মূলমন্ত্র হলো তালিকাভুক্তি,সচেতনতা এবং ‘জন ভাগীদারি’ সহ নাগরিকদের জ্ঞান আপডেট করা এবং রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা বারাণসী জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের একশো শতাংশ স্যাচুয়েশনের পথ তৈরি করেছে।বিকশিত ভারত সংকল্পের শিবিরে লোকজন আসছে কি না তাও দেখেছে জেলা প্রশাসন।এই অঞ্চলের তীব্র শীতের কথা বিবেচনা করে কর্মসূচিগুলিতে হিটিং সুবিধা সহ মৌলিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.