মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মানছে না দপ্তর, বন্ধ পঠনপাঠন!!

 মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মানছে না দপ্তর, বন্ধ পঠনপাঠন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-সরকারী
সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ বন্ধ। ফলে রাজ্য সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে এসে ঠেকেছে।বিপাকে পড়েছে সঙ্গীত শিক্ষার্থীরা।এমনকী ইনস্ট্রাক্টর এবং শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের নিয়মিত পঠনপাঠনও বন্ধ।ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশিকাও লঙ্ঘন হচ্ছে।এমনকী ন্যাশনাল এসেসমেন্ট অ্যান্ড এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের পরিসংখ্যানেও সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের মান প্রশ্নের মুখে।কিন্তু এরপরও এক অদৃশ্য কারণে সরকারী সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার, উচ্চশিক্ষা দপ্তর।মহাকরণ সূত্রে খবর, প্রায় এক বছর আগে সরকারী সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের ৬টি বিভাগের জন্য ১৬টি ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করেছিল রাজ্য অর্থ দপ্তর। এরপর অর্থ দপ্তর থেকে ১৬টি ইনস্ট্রাক্টর পদের নিয়োগে ফাইলটিতে উচ্চশিক্ষা দপ্তরেরও অনুমোদন হয়। অবাক করার বিষয় হলো, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অফিসে ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগের ফাইলটি এসে গায়েব।তবে কোন ক্ষমতাবলে উচ্চশিক্ষা দপ্তর ১৬টি ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে না এ প্রশ্নের উত্তর নেই।অথচ রাজ্যে সঙ্গীতে স্নাতক বেকার রাজপথে চাকরির জন্য ঘুরছে।অন্যদিকে রাজ্য মন্ত্রিসভা ও অর্থ দপ্তরের অনুমোদনের পর ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ বন্ধ।তবে কেন রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগের ফাইলটি গায়েব করে দিয়েছে।এ নিয়ে আবার রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোল নেই।ফলে নানা প্রশ্ন উঠেছে।সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় সূত্রে খবর,এ মুহূর্তে ৬টি বিভাগের জন্য ছাত্রছাত্রী অনুপাতে ৩৮ জন ইনস্ট্রাক্টরের প্রয়োজন রয়েছে।তবে এর ধারে কাছে সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে নেই। এমনকী অর্থ দপ্তরের অনুমোদনের পরও ১৬টি পদে নিয়োগ বন্ধ। যার ফলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বর্তমানে সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে ২ জন এসিসটেন্ট প্রফেসর, ১ জন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং ১২ জন অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চলছে।যার খেসারত দিচ্ছে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা। এরপরও রাজ্য সরকার সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে এসিসটেন্ট প্রফেসর ৫টি শূন্যপদে এবং অনুমোদিত ১৬টি ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ করছে না।অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা অফিসের একটি চক্র সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ১৬টি ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে না।অথচ এই ১৬টি হলো নিয়মিত পদ।
মহাকরণ সূত্রে খবর,আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি ১৬টি ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হয়,তবে রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এই ১৬টি ইনস্ট্রাক্টর পদ বাতিল হয়ে যাবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.