চক্ষু হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ চলছে: মুখ্যমন্ত্রী!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে ডাক্তারদের সেবার মানসিকতা থাকতে হবে। তবেই চিকিৎসক জীবনের সার্থকতা আসবে।মানুষেরও চিকিৎসকদের উপর বিশ্বাস বাড়বে।অল ত্রিপুরা অপথালমোলজিক্যাল সোসাইটির ১১তম রাজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করে এমনই বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।শহরের এক হোটেলে সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,মানুষের শরীরের মধ্যে চোখ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।যার মাধ্যমে এই পৃথিবীকে অনুভব করা যায়।চক্ষু চিকিৎসকগণ চিকিৎসা পরিষেবার মাধ্যমে অনেক মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখাচ্ছেন।যা অত্যন্ত মানবিক ও প্রশংসনীয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে আন্তরিক।রাজ্যে একসময় কোনও ডেন্টাল কলেজ ছিল না।অতি অল্প সময়ে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় রাজ্যে ডেন্টাল কলেজ চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই কলেজের উদ্বোধন করেছিলেন।নার্সিং কলেজও চালু করা হয়েছে।তাছাড়াও হোমিওপ্যাথি কলেজ স্থাপনের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।রাজ্যে একটি বিশেষ চক্ষু চিকিৎসার হাসপাতাল স্থাপনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের প্রতিটি জেলা হাসপাতালগুলিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।আরও ১০০টি হেল্থ সাবসেন্টার করার জন্য বাজেটে সংস্থান রাখা হয়েছে।
সম্মেলনে দুজন প্রবীণ চিকিৎসক ডা. হরসা ভট্টাচার্য এবং ডা. প্রণব রঞ্জন চৌধুরীকে সোসাইটির পক্ষ থেকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন।মুখ্যমন্ত্রী সোসাইটির ১১তম রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন।সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. বি কে পাল।ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ডা. এম এস চ্যাটার্জি। তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডা. বি এন গুপ্তা ও ডা. সমর কে বসাক।