শরীরের তাপেই চার্জ হবে মোবাইল!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- চার্জ শেষ হয়ে মোবাইল ফোন অফ হয়ে গিয়েছে? রাস্তার মাঝে। আচমকা বিপদে পড়েছেন। চিন্তা নেই, ফোনে একটা আঙুল ছোঁয়ালেই শুরু হয়ে যাবে চার্জিং। এমন অভিনব পদ্ধতিই আবিষ্কার করেছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আইআইটি-র গবেষকরা।মানবদেহের উত্তাপকে ইলেকট্রি সিটি’তে রূপান্তরিত করার অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন তারা, যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে দিতে পারে। থার্মোনিউক্লিয়ার মেটিরিয়াল তৈরির ঘোষণা গত বছর জুনেই করেছিল আইআইটি মান্ডি, তবে এখন সেই গবেষণাপত্র জার্মানির সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি হয়েছে আইআইটি মান্ডির স্কুল অফ ফিজিক্যাল সায়েন্সের অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক অজয় সোনির নেতৃত্বে। তাদের থামোইলেকট্রিক জেনারেটর কী ভাবে কাজ করে, তা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন মানুষের স্পর্শেই বৈদ্যুতিন ডিভাইসের চার্জিং শুরু হয়ে যাবে শুধুমাত্র ফোন নয়, লো পাওয়ার যে কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও চার্জ দেওয়া যাবে। সিলভার টেলুরাইড ন্যানোওয়্যার ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে থামেইিলেকট্রিক মডিউল। এর সাহায্যেই মানুষের দেহের উত্তাপ ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। তাতেই চার্জড হবে সঙ্গে থাকা বৈদ্যুতিন সামগ্রী। সায়েন্স ডাইরেক্ট অনুসারে এটি তাপ উইজেট বা তাপ সামগ্রীকে সরাসরি রূপান্তর করে। থার্মোইলেক্ট্রিক প্রভাবের প্রথম অংশ তাপকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তর ১৮২১ সালে পদার্থবিদ টমাস সিবাচ আবিষ্কার করেছিলেন। এর পর ফরাসি পদার্থবিদ জিন পেন্টিয়ার -এ নিয়ে আরও গবেষণা করেন। তাই একে ‘পেল্টিয়ার সিব্যাক এফেক্ট’ও বলা হয়। দ্বিতীয় অংশ হল যখন বৈদ্যুতিক প্রবাহ তাপ বা শীতল প্রভাব তৈরি করে। এটি ১৮৫১ সালে উইলিয়াম থমসন আবিষ্কার করেছিলেন।