বহু প্রতীক্ষিত ভারত-বাংলা মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ২৪শে!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- প্রতীক্ষার প্রহর গোনা প্রান্ত সীমানায় দাঁড়িয়ে।ভারত – বাংলা মৈত্রী সেতু উদ্বোধন চলতি মাসেই।খুব সম্ভবত আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারী ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে মৈত্রী সেতুর যাত্রা শুরু করবে।এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসন তার প্রশানিক সমস্ত উদ্যোগ কেন্দ্রীভূত করেছে মৈত্রী সেতুতে।প্রতিদিন মনিটরিং চলছে ইন্ডিকেটেড চেকপোস্ট-এর কাজের। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,সুসংহত স্থলবন্দরের কাজ তুলির শেষ টানে রয়েছে।দেড় বছর আগে মৈত্রী সেতু মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে লম্বা দৌড়ের অপেক্ষায়।এতদিন স্থলবন্দরের কাজ শেষ না হওয়ার ফলে মৈত্রী সেতু দিয়ে লোক চলাচলের প্রাথমিক কাজ শেষ করা যায়নি।বিকশিত ভারতের বার্তা দিতে নয়াদিল্লী মৈত্রী সেতু লোকসভা ভোটের আগেই উন্মুক্ত হয়ে যাবে একাধিক প্রতিবেদন দৈনিক সংবাদে এর আগেই প্রচারিত হয়েছিল।দিল্লীর দিক দিয়ে মৈত্রী সেতু খুলে দেওয়ার চাপ ছিল,কেন না বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে রামনগর স্থলবন্দর উন্মুক্ত করে দিয়েছে।কিন্তু এবারের কাজ সম্পূর্ণ শেষ না হয় মৈত্রী সেতু দিয়ে লোক চলাচলের কাজ শুরু করা
যায়নি।ভারতীয় অংশে ইন্ডিকেটের চেকপোস্ট কাজের বৃত্ত প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার পথে।এখন মৈত্রী সেতু তার প্রতীক্ষার দৌড় শুরু করতে আর কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকছে না।এখন প্রথমদিকে লোক চলাচলের মাধ্যমে মৈত্রী সেতু তার যাত্রার প্রথম ধাপ শুরু করার পরপরই প্রত্যাশা ও প্রতীক্ষার আন্তর্জাতিক পণ্যবাণিজ্য শুরু হওয়ার পথ অনেকটা মসৃণ হয়ে যাবে।শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দর ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি আগেই দিয়ে দিয়েছে।চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের ভৌগোলিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত লাগোয়া সাক্রম দিয়ে শুরু হবে আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যের নতুন সোনালী ক্ষেত্র।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লুক-ইস্ট পলিসির উর্বর ক্ষেত্রে হয়ে উঠবে সাব্রুমের এই মৈত্রী সেতু। এতদনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ব্যবহৃত যাবতীয় পণ্য সামগ্রী ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসতে হলে দ্বিগুণ পরিবহণ মাশুল বহন করতে হতো।চট্টগ্রামের সামুদ্রিক বন্দর ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের ব্যবসার ক্ষেত্রে এখন নতুন পরিসরের সৃষ্টি করেছে।যার সুফল ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবকটি রাজ্য পাবে। আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্য শুরু করার পরিকাঠামো ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়ে আছে। সড়ক পথ ও রেলপথ উভয়ের সুবিধা এই মুহূর্তে হাতের মুঠোয়।তাছাড়া সাব্রুম রেলস্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে গড়ে উঠছে গুডস ইয়ার্ড। মৈত্রী সেতুর উপর ভর করে আগামী দিন রাজ্যের উন্নয়নের এবং কর্মসংস্থানের এক সোনালী সম্ভাবনা ক্ষেত্র গড়ে উঠবে।এদিকে মৈত্রী সেতু শীঘ্রই খুলে দেওয়া হচ্ছে এই সংবাদ চাউর হতেই আবেগে -উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা মহকুমা। প্রত্যেকদিন ভিড় জমাচ্ছে নানা প্রান্ত থেকে আসা লোকজন মৈত্রী সেতুর অঞ্চলের।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে স্বপ্নের মৈত্রী সেতু স্বপ্নীল পথ ধরে প্রতীক্ষার যাত্রা শুরু এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায়।