সকলকে চিকিৎসার সুযোগ দিতেই জন আরোগ্য যোজনা: মুখ্যমন্ত্রী!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে মঙ্গলবার উদয়পুর গোমতী জেলা হাসপাতালে এমসিএইচ উইং-এর উদ্বোধন হয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে উদয়পুরস্থিত গোমতী জেলা হাসপাতালে মা ও শিশুদের আলাদা কক্ষ তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন সব অংশের জনগণ।২০১৮ সালের পর রাজ্যে বিজেপি জোট ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই দাবি নিয়ে সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।অবশেষে সরকার বাধ্য হয় এই টেপানিয়া গোমতী জেলা হাসপাতালের পাশেই দ্বিতল বিশিষ্ট মা- শিশুদের জন্য আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে যা মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সকাল এগারোটায় ফিতা কেটে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে এর সূচনা করেন।উদয়পুরে আজ দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোমতী জেলার মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতাল। এটি গোমতী জেলা হাসপাতালেরই একটি শাখা হাসপাতালই বলা চলে। অন্যটি রাজারবাগে আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।অনুষ্ঠানে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শিত পথকে উদ্ধৃত করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা আজ মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার উদ্দেশ্যে নিয়ে আলোকপাত করেন।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুফল নিয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে গেছে।আমরাও এই রকম একটি পদক্ষেপের ভাগিদারি হতে চেয়েছি।যারা বাদ গেছেন এখন প্রত্যেকে মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সুফল পাবেন। এখন গ্রামে গ্রামে কার্ড তৈরির কাজ চলছে।গোমতী জেলার মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতাল টি ৯.৫ কোটি ব্যয়ে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অর্থ থেকে তৈরি করা হয়েছে।শীঘ্রই এখান থেকে মা ও শিশু সম্ভাব্য বিষয়ক যাবতীয় পরিষেবা দেওয়া হবে।স্বাস্থ্য দপ্তর খুব শীঘ্রই ২৩০ জন চিকিৎসক নিয়োগ করতে চলেছে।অতিরিক্ত চিকিৎসক ও স্টাফ নার্স দেওয়া হবে।গোমতী জেলা বর্তমানে চারটি জেলাকে পরিষেবা দিচ্ছে। গোমতী,দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা, সিপাহিজলার একটি অংশ এবং ধলাই জেলার গন্ডাছড়ার অংশ।ফলে প্রতিদিন রোগীর ভিড় অনেক বেশি।আজ মুখ্যমন্ত্রী জানান, এর ফলে হাসপাতালের পরিষেবা আরও মসৃণ হবে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে মঙ্গলবার উদয়পুর মহকুমায় রাজারবাগস্থিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা উদয়পুর মহকুমায় রাজারবাগ আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তথা আয়ুষ্মান ভারত আরোগ্য মন্দিরের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন।সাথে ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়,বিধায়ক অভিষেক দেবরায়,বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারম্যান ও কমলপুর পুরপরিষদের চেয়ারম্যান সহ গোমতী জেলার জেলাশাসক,পুলিশ সুপার সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বর্তমান রাজ্য সরকার রাজ্যের সব অংশের মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রধানমনন্ত্রীর আরোগ্য যোজনার মতো রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য যোজনা চালু হয়েছে।প্রতিবছর পাঁচ লক্ষ টাকা করে মানুষের স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখার জন্য সরকার এটা চালু করেছে। রাজ্য সরকার চাইছে বিনা চিকিৎসায় কেউ যাতে এ রাজ্যে না থাকে।এই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে চলেছে।যুব সমাজ নেশায় আসক্তিতে যাতে করে ডুবে না যায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য অভিভাবকদের ও লক্ষ রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালকে পরিষ্কার রাখার জন্য সবাইকে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। হাসপাতালকে মন্দির ভাবতে হবে।সরকার সারা রাজ্যে শুধু স্বাস্থ্য নয়, শিক্ষায়, কৃষি, মৎস্য, পরিবহণ সব বিষয়ে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে চলেছে।অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ দীঘির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।