শিক্ষায় ভূত তাড়াবে কে?

 শিক্ষায় ভূত তাড়াবে কে?
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-সম্প্রতি রাজ্যের সেকেন্ডারি শিক্ষা অধিকর্তা সম্প্রতি এক নির্দেশ রাজ্যের সরকারী স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের ডেপুটেশন বা ইউটিলাইজেশন করার ক্ষেত্রে জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের হাতে পুনরায় ক্ষমতা অর্পণ করেছেন।এই নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলা শিক্ষা আধিকারিকরা এখন থেকে তার অধীনস্থ জেলার শিক্ষকদের স্ট্যাটাস অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন।গত বছরের আগষ্ট মাসে তদানীন্তন শিক্ষা অধিকর্তা জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের কাছ থেকে এই ক্ষমত নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন।এতে করে দীর্ঘদিন ধরে জেলা অফিস এবং আইএস অফিসগুলিতে থাকা কতিপয় একটি অসাধু চক্র এতে অসন্তুষ্ট হয়েছিলো।এরপর ওই শিক্ষা অধিকর্তা বদলি হতেই এবার বর্তমান শিক্ষা অধিকর্তাকে বুঝিয়েসুজিয়ে ফের জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের হাতে পুনরায় ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।জেলা শিক্ষা আধিকারিকরা নিজ জেলায় শিক্ষকদের প্রকৃত চিত্র অনুযায়ী শিক্ষকদের অদলবদল ঘটাবেন এতে দোষের কিছু নেই। যখন এই অদলবদল ঘটাতে গিয়ে একটি চক্র বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে সেটাই হচ্ছে দোষের। দীর্ঘ বাম আমলে দীর্ঘদিন এই প্রথা জারি ছিল।বাম আমলেও প্রতিটি আইএস অফিসের জেলা অফিসে একটি চক্র গজিয়ে ওঠেছিল।
এরাই মূলত এই ডেপুটেশন/ইউটিলাইজেশনের বিষয়টি দেখভাল করত।দীর্ঘ বাম আমল এখন অতীত।এখন রাম আমল চলছে।রাম আমলেও প্রতিটি আইএস অফিস,জেলা অফিসে নতুন চক্র গজিয়ে ওঠেছে।এরাই হচ্ছে এখন নিয়ন্ত্রক সব কিছুর।বেশিরভাগ বাম আমলের নিয়ন্ত্রকরাই সক্রিয়। শুধু আলখাল্লা বদলানো হয়েছে-এই যা।ফলে নিজ জেলায় শিক্ষক ডেপুটেশন কিংবা ইউটিলাইজেশন নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছিল।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডেপুটেশন এবং ইউটিলাইজেশন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।কোনওভাবে জেলা অফিসে কিংবা আইএস অফিসে সেই চক্রকে খুশি করতে পারলেই কেল্লাফতে।দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলতে থাকে শিক্ষা দপ্তরে। দপ্তরের ডিরেক্টরেটকে প্রায় ঘুমে রেখে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রথা চলতে থাকে।এই চক্রকে ভাঙতে উদ্যত হয়েছিলেন এর আগের শিক্ষা দপ্তরের ডিরেক্টর।তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা আইএস অফিস এবং জেলা অফিসগুলিতে ঘুঘুর বাসা ভাঙতে উদ্যত হয়েছিলেন। এরপর জেলা শিক্ষা আধিকারিকের ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব হয়েছিল বলা চলে,বিশেষ করে শিক্ষকদের ডেপুটেশন এবং ইউটিলাইজেশন করার ক্ষেত্রে।এই অবস্থায় জেলা অফিসে গড়ে ওঠা চক্রটি মনঃক্ষুণ্ণ হয়।শেষ পর্যন্ত পুরোনো ডিরেক্টর সরতেই বর্তমান ডিরেক্টরকে বুঝিয়ে সুজিয়ে ফের জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের হাতে সেই ক্ষমতা পুনরায় অর্পণ করা হল।জেলা অফিসে এবং আইএস অফিসগুলিতে বাম আমলে গজিয়ে ওঠা চক্রটি এ আমলে সক্রিয়।এরাই ডেপুটেশনের নামে দুনম্বরি পথে পছন্দের শিক্ষকদের কাছের স্কুলে,অপছন্দের হলে দূরের স্কুলে ডেপুটেশন পাইয়ে দিচ্ছেন-কান পাতলেই এ কথা শোনা যাচ্ছে।শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি কি জানেন বিষয়টি? যেখানে শিক্ষা দপ্তরে বদলি একটি অন্যতম বড় হাতিয়ার। বাম আমলে এই বদলিই ছিল কর্মচারীদের ঘায়েল করার একটা বড় অস্ত্র।এই অস্ত্রকে দিনের পর দিন কাজে লাগিয়েছে বামেরা।রাম আমলে এই বদলি অস্ত্রে শান দিয়েছে সেই পুরোনো বাম চক্রটিই।এরাই আইএস অফিস,জেলা অফিসে বসে ছড়ি ঘুরিয়েছে।শিক্ষা দপ্তরের পুরোনো আধিকারিক সেই চক্রটিকে ভাঙতে চেয়েছিলেন।কিন্তু তিনি যেতেই ফের সক্রিয় চক্র। এই ভূত তাড়াবে কে?

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.