প্রশ্ন ছাঁটাই ইস্যুতে সরগরম বিধানসভা, জিতেন-রতন বিতর্ক!!

 প্রশ্ন ছাঁটাই ইস্যুতে সরগরম বিধানসভা, জিতেন-রতন বিতর্ক!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিধানসবার শূন্যকালে সিপিআই(এম) পরিষদীয় দলনেতা জিতেন চৌধুরীর উত্থাপিত একটি ইস্যু ঘিরে সরগরম হলো বিধানসভা। এদিন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বিধানসভায় প্রশ্নত্তোর পর্ব শেষ হওয়ার পর উধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাম বিধায়ক জিতেন চৌধুরী দাঁড়িয়ে বলেন,মঙ্গলবার বিধানসভার কার্যসূচিতে তার একটি স্টার কোয়েশ্চেন ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আজ সকালে আমার আনিত প্রশ্নটি স্টার কোয়েশ্চেন থেকে আনস্টার কোয়েশ্চেন সূচিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।যদিও প্রশ্নটি শুধু জিতেনবাবু একাই আনেননি।বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা এবং কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায় যৌথভাবে একই প্রশ্ন এনেছেন।তিনজনের আনিত প্রশ্ন কিভাবে স্টার কোয়েশ্চেন সূচি থেকে আনস্টার কোয়েশ্চেন সূচিতে চলে গেল?এই প্রশ্ন তুলে জিতেনবাবু অধ্যক্ষের বিবৃতি দাবি করেন এবং এই নিয়ে সরব হন।জিতেনবাবুর আরও দাবি, তার প্রশ্নটি (তিনজনের) স্টার কোয়েশ্চেন সূচির ২৩ নম্বর সিরিয়ালে ছিল।অধ্যক্ষ জিতেনবাবুর বক্তব্যের তেমন কোনও গুরুত্ব না দিয়ে বিধানসভার পরবর্তী কার্যসূচি চালিয়ে যেতে থাকেন।অধ্যক্ষ শুধু বলেন,কে বলেছে আপনাকে এটা স্টার কোয়েশ্চেন ছিল?যা হয়েছে বিধানসভার আইন অনুযায়ী হয়েছে।অধ্যক্ষের এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে জিতেনবাবু তীব্রভাবে নিশানা করেন অধ্যক্ষকে।অন্য বিরোধী সদস্যরাও তখন জিতেনবাবুর পক্ষ নিয়ে সরব হন।এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হই হট্টগোল চলতে থাকে।বিরোধীদের হই হট্টগোলের মধ্যেই পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন পরিষদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ।তিনি প্রথমে বিধানসভার আইন উল্লেখ করে বোঝানোর চেষ্টা করেন।কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি।এরপরই স্বমহিমায় তীব্রভাবে জিতেন চৌধুরীকে পাল্টা নিশানা করেন রতন নাথ।তিনি জিতেনবাবুকে উদ্দেশ্য করে বলেন,বিধানসভা কিভাবে চলবে,সেটা আপনি ঠিক করবেন?আপনি এই কাগজ কোথায় পেলেন?আপনি কি করে দাবি করছেন প্রশ্নটি স্টার কোয়েশ্চেনের সূচিতে ছিলো?কে দিয়েছে এই কাগজ আপনাকে জানাতে হবে।ওই কাগজে অধ্যক্ষের স্বাক্ষর আছে?আপনি কোথা থেকে এই কাগজ ছাপিয়েছেন?আপনাকে বলতে হবে রতনের তীব্র বাক্যবাণে তখন চাপে পড়ে যান জিতেনবাবু।রতনবাবু আরও বলেন, এইসব করে আপনি হাউজকে বিভ্রান্ত করার জন্য চক্রান্ত করেছেন। রতনবাবু এই ব্যাপারে তদন্তের দাবি জানান।রতননাথ অধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জিতেনবাবু এই কাগজ কোথায় পেলেন এবং কোথায় ছাপিয়েছেন, সেটা আপনাকে তদন্ত করতেই হবে।এই নিয়ে তখন দুই পক্ষের তুমুল বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে।ওই সময় অধ্যক্ষকে দেখা যায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে বিধানসভার মুখ্যসচেতক কল্যাণী রায়কে বলেন।কিন্তু তুমুল হই হট্টগোলের মধ্যে কারও কথা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।শেষে রতনলাল নাথ আরও তীব্রভাবে নিশানা করেন বাম বিধায়ক জিতেন চৌধুরীকে।তিনি বলেন, এইসব চালাকি করে অতীতে অনেক কিছু করেছেন। এখন এইসব চালাকি চলবে না। প্রায় দশমিনিট তুমুল বাক বিতণ্ডার পর সভা শান্ত হয়। প্রশ্নটি ছিল, ২০১৮ সালের পর থেকে বর্তমান সরকার রাজ্যের কর্মচারীদের কত শতাংশ মহার্ঘভাতা দিয়েছে? কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের সাথে বর্তমানে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের কত শতাংশ মহার্ঘ্যভাতার পার্থক্য রয়েছে? আগামীদিনে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেবে কিনা? জিতেনবাবুর অভিযোগ, হাউজে যাতে ডিএ নিয়ে আলোচনা না হয়,তার জন্যই এই প্রশ্ন স্টার কোয়েশ্চেন থেকে আনস্টার কোয়েশ্চেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।তবে জিতেনবাবু এই অভিযোগ এবং দাবি কতটা সঠিক,এই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।কেননা, তিনি কিন্তু তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ উত্থাপন করতে পারেনি বিধানসভায়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.