স্মার্টসিটি, ৬৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৭টি সম্পন্ন, ৮টির কাজ চলছে!!

 স্মার্টসিটি, ৬৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৫৭টি সম্পন্ন, ৮টির কাজ চলছে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-শহর পুনর্নবীকরণ এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠার কর্মসূচিই হচ্ছে
স্মার্টসিটি মিশন।যার লক্ষ্য দেশজুড়ে ১০০টি শহরকে নাগরিক-বান্ধব এবং টেকসই করে গড়ে তোলা।স্মার্ট সিটি মিশনের দ্বিতীয় রাউন্ডে আগরতলা নির্বাচিত হয়েছিল।স্মার্টসিটি চ্যালেঞ্জের ভিত্তিতে আগতলা একটিবস্মার্টসিটি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে।আগরতলা স্মার্টসিটি ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে বিধায়ক গোপাল রায়ের আনীত একটি জনস্বার্থ সংবলিত ইস্যুতে আলোচনা করতে গিয়ে এই
তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা জানান,স্মাটসিটি মিশনের অধীনে মোট ৬৫টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে আঘরতলা স্মার্টসিটি।এখন পর্যন্ত ৫৭টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে ও ৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। স্মার্টসিটি মিশনের অধীনে কেন্দ্রীয় শেয়ার হিসাবে মোট ৪৯০.০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে ও রাজ্য শেয়ার হিসাবে মোট ৫১.০২ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছরের ৪ মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শেয়ারের ৪৫৯.৫৭ কোটি টাকা এবং স্টেট শেয়ারের ৪৯.৩৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।এছাড়া সিআইটিআইআইএস প্রকল্পের অধীনে আগরতলা স্মার্টসিটি ‘হাওড়া নদী সম্মুখ উন্নয়ন প্রকল্প’ গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯.০০ কোটি টাকা। বর্তমানে কাজ জারি রয়েছে এবং ০৪.০৩.২০২৪ পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৫৩.৫৪ কোটি টাকা। পাশাপাশি এই প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রীয় শেয়ার হিসাবে মোট ৪৫.৯০
কোটি টাকা পাওয়া গেছে এবং রাজ্য শেয়ার হিসাবে মোেট ৪৮.০০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগরতলা স্মার্টসিটি মিশনের অধীনে একাধিক প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। এরমধ্যে প্রথমে রয়েছে আগরতলায় বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা।দ্বিতীয় পয়েন্টে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার (ICCC) বাস্তবায়ন করা।এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে- তথ্যের সমন্বয় ও সহযোগিতামূলক পর্যবেক্ষণে সক্ষম করা।এটি ইন্টিগ্রেটেড ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য রিয়েল-টাইম সহযোগিতা, শহর জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরার মাধ্যমে বন্যা পর্যবেক্ষণ ও ক্যামেরায় নজরদারির মাধ্যমে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইন্টেলিজেন্ট অপারেশন সক্ষমতা বাড়ানো।এক্ষেত্রে সিসিটিভি নজরদারির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতিসাধন সম্ভব হয়েছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে চুরি যাওয়া টু ও থ্রি- হুইলার খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।অপরাধমূলক ঘটনায়ও লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে।২৪ x ৭ যানবাহন ট্রাফিকের মনিটরিং- এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন অপরাধ রোখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া কাটাখাল ও হাওড়া নদীতে ঝড়বৃষ্টির সময়ে জল নিষ্ক্রমণ সহ সমস্ত বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলির জন্য বিদ্যমান ‘সিটি সার্ভিল্যান্স (সিসিটিভি) ক্যামেরার মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা এবং জল নিষ্কাশনী পাম্পের ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।এই প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে।এর মধ্যে রয়েছে – ছাত্র সংঘ পুকুর, জেএন বাড়ি পুকুর পার্ক, এমবিবি কলেজের কাছে তিনটি পুকুরের উন্নয়ন, ডিমসাগর, জংশনের সৌন্দর্যায়ন,রাণীর পুকুর, এলবার্ট এক্কা যুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উন্নয়ন।সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পে কিছু প্রধান চলমান প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে – বিমানবন্দর সড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীতকরণ ও প্রশস্তকরণ,হাওড়া নদী সম্মুখ উন্নয়ন প্রকল্প, ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী থেকে সমন্বিত চেকপোেস্ট পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ, উজ্জয়ন্ত প্যালেস গার্ডেন ও আশপাশ এলাকা এবং এমবিবি কলেজ লেকের সৌন্দর্যায়ন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.