রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
৫২ বছরে ৩৪ হাজার ‘বিগ ম্যাক’ বার্গার খেয়ে বিশ্বরেকর্ড ডোনাল্ডের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-এখন বয়স ৭০ বছর,বয়স যখন ১৮,তখন থেকে ‘বিগ ম্যাক’ বার্গারের প্রেমে পড়েন তিনি। তারপর থেকে বাকি জীবনে, শুধুই বার্গার খেয়েছেন।আর যতবার তা খেয়েছেন, সেই বিল সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।এমন অসাধ্য সাধনের জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে।বার্গার খাওয়ায় বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেছেন তিনি।এই বৃদ্ধের নাম ডোনাল্ড গোর্সকি।অবশ্য এর আগেই ডোনাল্ড গোর্সকি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মালিক ছিলেন।এবার তিনি সেই রেকর্ডকে আরও সুসংহত করলেন।একক ব্যক্তি হিসেবে জীবনে তিনিই সবচেয়ে বেশি বিগ ম্যাক বার্গার খেয়েছেন বলে তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ।গিনেস বুক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে,২০২৩ সালে আরও ৭২৮টি বিগ ম্যাক বার্গার খেয়েছেন ডোনাল্ড। সব মিলিয়ে প্রায় ৫২ বছরে তিনি ৩৪ হাজার ১২৮টি বিগ ম্যাক খেয়েছেন।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী,১৯৭২ সালের ১৭ মে ডোনাল্ড বিগ ম্যাক বার্গার খাওয়া শুরু করেন।বিগ ম্যাক খাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ডোনাল্ড বলেন,’আমার বাকি জীবনও আমি মনে হয় এটি খেয়েই কাটাব।’বিগ ম্যাক খাওয়ার শুরুর দিন থেকে ডোনাল্ড সযত্নে প্রতিটি বার্গারের হিসাব রেখেছেন এবং প্যাকেট জমা রেখেছেন।আমেরিকার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ফন্ড ডু লাকের বাসিন্দা ডোনাল্ড একসময় কারারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন।বার্গারের প্যাকেট সংগ্রহ করে রেখে তিনি ১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড করেন।ডোনাল্ড বলেছেন, প্রথম দিকে রোজ নয়টি বার্গার খেতেন।পরে তিনি ধীরে ধীরে বার্গার খাওয়া কমিয়ে আনেন।এখন সাধারণত দুপুর ও রাতের খাবারে তার বার্গার থাকে।রেকর্ড যাচাই-বাছাইয়ের সঙ্গে
জড়িত সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী,আগে টাটকা বার্গার পেতে ডোনাল্ড প্রতিদিন ফাস্টফুড আন্তর্জাতিক চেইন
ম্যাকডোনাল্ডে যেতেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর এখন তিনি সপ্তাহে দুদিন দোকানে গিয়ে কয়েক দিনের বার্গার কিনে আনেন।বাসায় সংরক্ষণ করে তিনি প্রতিদিন বার্গার খান।ডোনাল্ডের দৈনিক খাদ্যতালিকায়
প্রধানতম খাবার হচ্ছে বিগ ম্যাক বার্গার।তবে মাঝে মধ্যে খিদে পেলে তিনি আলুর চিপস, ফ্রুট বার বা আইসক্রিমও খান।গিনেস কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন,১৯৮৪ সালে ডোনাল্ড বার্গার কিং ওয়াপার খাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রিয় বিগ ম্যাকে থেকে যান।তিনি বলেন,’যখন আমার কোনও কিছু পছন্দ হয়,তখন সেটি নিয়েই থাকতে আমার ভাল
লাগে।’ আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ৫২ বছরে তিনি ৩৪ হাজারের বেশি বার্গার খেলেও কখনও তার স্বাস্থ্যের সমস্যা হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে তিনি
কখনও বার্গারের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খান না।প্রতিদিন তিনি অন্তত নিয়ম করে ছয় মাইল (প্রায় ১০ কিমি) হাঁটেন।