মোদির হাত ধরে ভার্চুয়ালি সাব্রুম স্থলবন্দরের যাত্রা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-খোল দ্বার খোল! বহু প্রতীক্ষিত ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দ্বার খুলে গেলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।সঙ্গে সৃষ্টি হলো একটা নতুন ইতিহাস। মৈত্রী সেতু ভারত- বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন পরশ উষ্ণতার আবর্তে আবর্তিত হলো প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। আইসিপি আজ ছাড়পত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, দীর্ঘদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা মৈত্রী সেতু তার যাত্রা শুরু করলো এক স্বর্ণালী পথ ধরে। কিন্তু মৈত্রী সেতুর পথ ধরে দু’দেশের লোক চলাচল কবে শুরু হবে সরকারীভাবে যদিও এখনও তা চূড়ান্ত হয়ে ওঠেনি, এরই মাঝে দেশের চৌদ্দতম আধুনিক আইসিপির আজ শুভ সূচনা হয়ে গেলো। এরপর পরের ধাপ মৈত্রী সেতু দিয়ে লোক চলাচলের বিষয়টি চলে আসছে। ভারত-বাংলা দু’দেশের আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্য শুরু হয়ে যাবে।এপার-ওপার দুইদিকে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। আজকের সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট চালু হওয়ার পর নয়াদিল্লী- ঢাকার পরবর্তী লক্ষ্য দ্রুত আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্য শুরু করা।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাব্রুম আইসিপি ভার্চুয়াল উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছেন দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল দিল্লীর চোখে এখন অনেক কাছে।বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উন্নয়নে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।এনডিএ সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।আজ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ত্রিপুরার সাব্রুমের ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট সহ একাধিক প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিদ্যুৎ, রেলসহ যোগাযোগের বহুমাত্রিক উন্নয়নের এক নতুন দিশার সন্ধান দিয়েছে তার সরকার।উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগণের মন পেতে মোদির গ্যারান্টি স্কিম যে ভোটের পাখির চোখ তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।বিগত কংগ্রেস সরকারের দিকে তাক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন সরকারের আমলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত নিরাপদ ছিল না।মহিলা ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের সার্বিক উন্নয়নের গ্যারান্টি তার সরকার।বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে বর্তমান সরকার যথেষ্ট যত্নশীল।
ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মৈত্রী সেতু সংলগ্ন মঞ্চ থেকে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ত্রিপুরার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি নিরঙ্কুশভাবে ইতিবাচক।এই মৈত্রী সেতু আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক নতুন দিশার সন্ধান দেবে।দেশের বিশেষ করে উত্তর পূর্বাঞ্চলের আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে এই সেতু খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ এর ফলে উপকৃত হবে। সাব্রুমে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাকে আপ্লুত ও প্রত্যয়ী মনে হয়েছে। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে ভারত-বাংলা এই মৈত্রী সেতু উন্নয়নের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন্তায় চেতনায় উত্তর- পূর্বাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগণ।শুধু তা নয় মুখ্যমন্ত্রীর ডা. মানিক সাহা দীর্ঘ সময় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হচ্ছে ভরসার ঠিকানা।তিনি যেভাবে দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের সাতটি রাজ্যের জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলছে তা স্বাধীনতার পর আর কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী এমন কাজ করেনি।আট হাজার পাঁচশ কোটি টাকার প্রজেক্ট শুধু ত্রিপুরাতে।
নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর ভরসা।তার হাত ধরে বিশ্বদরবারে ভারত আজ স্বমহিমাতে শাসন করেছে।আজ আধুনিক ভারত গড়ে উঠেছে।ত্রিপুরা আজ বহু দূরে এগিয়ে গিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ভারতে ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র বলেন যে, মৈত্রী সেতু হচ্ছে দেশের স্বপ্নের প্রজেক্ট। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত।দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে ভারতবর্ষের অন্যান্য আইসিপিণ্ডিলি উন্নয়নে বহু দূর এগিয়ে চলছে।পুরো উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ এই ঐতিহাসিক দিনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় খাদ্যমন্ত্রী সশান্ত চৌধুরী সাংসদ রেবতী মোহন ত্রিপুরা,শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। দক্ষিণ জেলার দলের বিধায়ক মাইলাফ্রু মগ, প্রমোদ রিয়াং, স্বপ্না মজুমদার সহ ভারত সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারি শীর্ষ আধিকারিকরা।