রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
রাতে কম্বল, লম্বা ইনিংস শীতের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-মনোরম আবহাওয়া চলছে রাজ্য জুড়ে।বলা যায় চিরবসন্তের আবহাওয়া। যেমনটা বেঙ্গালুরুতে গেলে উপলব্ধি করা যায়। হ্যাঁ,রাজধানী সহ রাজ্যের সর্বত্র এ ধরনের আবহাওয়াই পরিলক্ষিত হচ্ছে।এ এক নজিরবিহীন অনুভূতি।সাধারণত মার্চ মাসের এ সময়ে বেশ গরম অনুভূত হয় রাজ্যে। কিন্তু চলতি বছর দিনের বেলা পারদ চড়লেও গরম কিন্তু নেই।শরীরে এখনও ঘাম হচ্ছে না।রাতের বেলায়, সকালে বেরোলে গায়ে উইন্ডচিটার চড়াতে হচ্ছে।ঘুমোতে গেলে কম্বল লাগছে।এক কথায় রাতে ঘুম ভালো হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল।এ রকম আবহাওয়া রাজ্যবাসী কস্মিনকালে দেখেছে তা মনে করতে পারছে না। কোভিডকালে ২০২০ সালে এ ধরনের আবহাওয়া কিছুটা অনুভূতি পাওয়া গেছিল। সেসময় রাস্তাঘাটে গাড়িঘোড়া প্রায় ছিল না, মানুষ ছিল গৃহবন্দি। ফলে প্রকৃতিও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিলো।আকাশ ছিল নীল।প্রকৃতি হাল ছেড়ে বেঁচেছিল ক’টা দিন।রাস্তায় হরিণ, ময়ূর নেচেছিল-এই ঘটনা আমাদের জানা।কিন্তু এ বছর শীতের এই লম্বা
ইনিংস দেখে আবহাওয়াবিদরা খানিকটা অবাক হচ্ছেন।মার্চের ৯ তারিখ,শনিবার সর্বনিম্ন পারদ ১৩°তে দাঁড়িয়ে। ভাবা যায়, এর আগের দিনও পারদ ছিল ১৩° সেলসিয়াসে।৭ মার্চ
পারদ দাঁড়িয়েছিলো এসে ১২° সেলসিয়াসে।এখনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ সেলসিয়াসের ঘরে এ এক
অবিশ্বাস্য অনুভূতি। আবহাওয়ার এই উলটপুরাণ চলছে সর্বত্র।ভরা শীত মরশুমে এবার জম্মু কাশ্মীর খাঁ খাঁ করেছে।কিন্তু সম্প্রতি হিমাচল থেকে কাশ্মীর, সিকিম সর্বত্রই তুষারপাতের খবর মিলেছে।গোটা বিশ্বজুড়েই এখন জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে।কোথাও অতিবৃষ্টি তো কোথাও খরা, কোথাও শীত উধাও তো কোথাও প্রচণ্ড দাবদাহ।এই অবস্থা চলছে গোটা বিশ্বজুড়ে।গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর।সেই নিরিখে এবার শীত মরশুম দীর্ঘায়িত হচ্ছে জেনে প্রকৃতিপ্রেমীরা বেশ উৎফুল্লিত।শীতকালে যেমন ঘোরাঘুরি করা যায়,তেমনি পেটপুরে খাওয়া-দাওয়া শীতকালেও বেশি হয়। স্বভাবতই শীতের ইনিংস দীর্ঘায়িত হলে মন্দ নয় বৈকি। তবে আপাতত আরও কিছুদিন হয়ত কম্বল গুছিয়ে রাখলে হবে না। শীতের লম্বা ইনিংস কোথায় গিয়ে ঠেকে তাই এবার দেখার।