শান্তিরবাজারে ভোট দেবে রিয়াং শরণার্থীরা

 শান্তিরবাজারে ভোট দেবে রিয়াং শরণার্থীরা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার পাচ্ছে মিজোরামের রিযাাং শরণার্থীরা। শান্তিরবাজার মহকুমার সোবিনবাড়ি এলাকায় ৬৩৩ রিয়াং শরণার্থী পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সব পরিবারের হেড অফ ফ্যামিলি (এইচওএফ) বা পরিবারের কর্তারা পুনর্বাসন কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। মহকুমাশাসক অভেদানন্দ বৈদ্য জানান, পুনর্বাসনপ্রাপ্ত শরণার্থী পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কাজ চলছে। তৈরি হচ্ছে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কাজ চলছে। তৈরি হচ্ছে ভোটার পরিচয়পত্র। প্রায় বারো শতাধিক ভোটার রয়েছে। তারা অবশ্যই লোকসভা ভোট প্রদান করতে পারবে। এদের জন্য সোবিনবাড়ি স্কুলে একটি অক্সিলারি পোলিং স্টেশন খোলা হচ্ছে। সেখানে এমনিতে একটিবুথ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মোতাবেক ১৫০০ এর বেশি একটি বুথে ভোটার থাকতেপারবে না। স্থানীয় ও শরণার্থী ভোটারের সংখ্যা মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০০ অধিক ভোটার। শান্তিরবাজার
শহর থেকে সোবিনবাড়ি শরণার্থী পুনর্বাসন কেন্দ্র বারো কিমি দূরে। সেখানে পাহাড় জঙ্গল কেটে রিয়াংশরণার্থীদের জন্য বাসযোগ্য গ্রাম তৈরি ছ হচ্ছে। এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, শরণার্থীদের যেখানে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনও ঘরবাড়ি ছিল না। শান্তিরবাজার-করবুক রাস্তার দক্ষিণাংশে ত্রিশ হেক্টর জায়গার উপর গড়ে উঠছে শরণার্থী পুনর্বাসন গ্রাম।মহকুমাশাসক অভেদানন্দ বৈদ্য ওই গ্রামে দাঁড়িয়ে এক সাক্ষাৎকারে জানান, টিনের শেডের ছয়টি ডমেটরি ব্যারাক নির্মিত হয়েছে। সেখানে আপাতত থাকছেন শরণার্থীরা। দুপাবাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫৩ জন থাকেন। ১২ জানুয়ারী প্রথম দলটি এখানে আসে। সবার জন্য রেশন কার্ড আরওআর, পিআরটিসি, এসটি সার্টিফিকেট ইত্যাদি তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। দিল্লীতে শরণার্থীদের নথিপত্র পাঠানো হয়েছে। চুক্তি মোতাবেক সরকারী
সুযোগ সুবিধা ইতোমধ্যে তারা পেতে শুরু করেছে।তিনি জানান, এখন যে সকল পরিবারের কর্তারা এখানে অবস্থান করছেন তাদের থাকা খাওয়া ও অন্যান্য পরিষেবার উপর প্রশাসনের তরফে যাবতীয় মনিটরিং করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা হয়েছে। কাঁচা রাস্তা তৈরি হয়েছে বড় বড় পাহাড় কেটে। তৈরি হবে স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, বাজার ইত্যাদি। প্রতিটি পরিবারকে আলাদা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। সারা রাজ্যে ১২টি স্থানে মিজোরামের রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে শেষতম পুনর্বাসন গ্রামটি হলো সোবিনবাড়ি। এটি আবার কালা লাউগাং নামেও পরিচিত। এই শরণার্থী পুনর্বাসনের ফলে শান্তিরবাজার মহকুমার জনসংখ্যা এক লাফে প্রায় তিন হাজারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। শান্তিরবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার বেড়েছে ১২০০। এই ভোটাররা লোকসভার পশ্চিম আসনের প্রার্থী নির্বাচন করবে। উল্লেখ্য, দক্ষিণ জেলায় রিয়াং শরণার্থীদের এই একটি স্থানেই পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.