পূর্ব আসনে সিপিএমের প্রার্থী রাজেন্দ্র, রামনগরে রতন দাস!!

 পূর্ব আসনে সিপিএমের প্রার্থী রাজেন্দ্র, রামনগরে রতন দাস!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি:-লোকসভা জোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলো বামফ্রন্ট।সেই সঙ্গে ত্রিপুরায়ও ইন্ডিয়া জোটকে মান্যতা দিলো সিপিএম পলিটব্যুরো। পাশাপাশি ৭ রামনগর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করলো সিপিএম। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাত, মানিক সরকার, রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরীর উপস্থিতিতে আজ দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকের মাধ্যমেই লোকসভা জোটের রূপরেখা, রণকৌশল ও প্রার্থীদের নামে সিলমোহর প্রদান করা হয়। এমনকী ইন্ডিয়া জোটের সাথে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়েরও সিদ্ধান্ত নিলো সিপিএম।

আজ মেলারমাঠ রাজ্য দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী আরও জানান, পূর্ব ত্রিপুরা আসনে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।৭ রামনগর বিধানসভা উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সর্বভারতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যেও ইন্ডিয়া জোটের কংগ্রেস প্রার্থী (পশ্চিম আসন) প্রাক্তন বিধায়ক আশিস কুমার সাহাকে সমর্থন জানাচ্ছে সিপিএম।শুধু তাই নয়, সিপিএম প্রার্থীদের সাথে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনেও নির্বাচনি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট।এ লক্ষ্যে সোমবার সিপিএম ও কংগ্রেস দলের একটি বৈঠক হবে।জিতেন চৌধুরী জানান, রাজ্যে সিপিএম ও ইন্ডিয়া জোটের লড়াই জনবিরোধী বিজেপি, আইপিএফটি, তিপ্রা মথা জোট সরকারের বিরুদ্ধে। বিধায়ক রাজেন্দ্র রিয়াং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

৭ রামনগর বিধানসভা উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিএম প্রার্থী প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সর্বভারতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্যেও ইন্ডিয়া জোটের কংগ্রেস প্রার্থী (পশ্চিম আসন) প্রাক্তন বিধায়ক আশিস কুমার সাহাকে সমর্থন জানাচ্ছে সিপিএম। শুধু তাই নয়, সিপিএম প্রার্থীদের সাথে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনেও নির্বাচনি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট। এ লক্ষ্যে সোমবার সিপিএম ও কংগ্রেস দলের একটি বৈঠক হবে।জিতেন চৌধুরী জানান, রাজ্যে সিপিএম ও ইন্ডিয়া জোটের লড়াই জনবিরোধী বিজেপি, আইপিএফটি, তিপ্রা মথা জোট সরকারের বিরুদ্ধে।তার অভিযোগ তিপ্রা মথা ও বিজেপির দৌলতে উপজাতি জনসমাজ সহ রাজ্যবাসী সর্বক্ষেত্রে বিপন্ন হচ্ছে।২০২৩ সালে রাজ্যের পাহাড়ের ট্রাইবেল মানুষ, রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যেই ভোট দিয়েছিলেন। তবে শুধুমাত্র তিপ্রা মথার বিশ্বাসঘাতকতার জন্যে বিজেপি আবারও ক্ষমতা দখল করে নিলো।তিপ্রা মথা দল গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের নামে রাজ্যের ট্রাইবেল মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে।এখন আবার কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তির নামেও উপজাতিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছে।আর এখন তো সরাসরি বিজেপি দলে শামিল হয়ে এদের গোপন আঁতাঁতও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তবে তিপ্রা মথা শেষ রক্ষা হবে না।রাজ্যের ট্রাইবেল মানুষ আসন্ন লোকসভা ভোটে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে এদের উচিত শিক্ষা দেবে।জিতেন চৌধুরীর দাবি পশ্চিম ত্রিপুরা আসনেও বিজেপি,তিপ্রা মথা ও আইপিএফটি ভরাডুবি হচ্ছে। তার অভিযোগ বিজেপি শাসনে, রাজ্যে বেকারের চাকরি বন্ধ।চাকরি যাচ্ছে বহিঃরাজ্যে।শিক্ষক, কর্মচারী, কৃষক, জুমিয়া, শ্রমিক, চুক্তিবদ্ধ কর্মচারী, ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। কাজ, খাদ্য নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, পরিবহণ ব্যবস্থা বেহাল দশা। এডিসি থেকে মহাকরণ দুর্নীতির সাগরে ভাসছে। তাই রাজ্যের মানুষ বিজেপি-তিপ্রা মথা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছেন। রামনগর বিধানসভা আসনেও এদের পরাজয় নিশ্চিত। তাই এরা আবার পূর্বের মতো সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোট, ভোট লুট, জবরদখল করে নির্বাচনে পার পেতে পরিকল্পনা করছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এক সভায় বক্তব্যের মাধ্যমে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্যে ভারতের নির্বাচন কমিশনারের কাছে তিনি দাবি জানান। তিনি সিপিএম ও ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীকে ভোট প্রদানের মাধ্যমে জয়ী করার জন্যে রাজ্যবাসীর কাছেও আহ্বান জানান। নারায়ণ কর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.