দিনেই সাড়ে সাত মিনিট অন্ধকার, ফের ঘটবে ১২৬ বছর পরে!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বিরল মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে আগামী ৮ এপ্রিল। সূর্যের পূর্ণগ্রাসে সাড়ে সাত মিনিট ঘুটঘুটে আঁধারে ডুবে থাকবে উত্তর আমেরিকার বৃহত্তর অংশ।চলতি বছরে এটাই প্রথম দীর্ঘতম সূর্যের পূর্ণগ্রাস।সূর্যের এমন ‘ভয়ঙ্কর’ গ্রহণ ফের ঘটবে আগামী ১২৬ বছর বাদে।বিজ্ঞানীরা বলেছেন,২১৫০ সাল পর্যন্ত সূর্যের এমন পূর্ণগ্রাস আর দেখা যাবে না।এর আগে শেষবার এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটেছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু আগামী ৮ এপ্রিলের গ্রহণের সময়কাল এবং – দৃশ্যমানতা উভয় ক্ষেত্রেই সাত বছর আগের গ্রহণের ‘সৌন্দর্য’- – কে ছাপিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।সাত বছর আগে আমেরিকায় যে সূর্যগ্রহণ দেখা গেছিল তা ২ মিনিট ৪২ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।সেখানে এবার হবে সাড়ে ৭ মিনিট!আগামী ৮ এপ্রিল চাঁদ সরাসরি পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে চলে আসবে।তার ছায়ায় উত্তর আমেরিকার বড় অংশ অন্ধকারে ঢাকা পড়বে।তবে ভারত থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখার কোনও আশা নেই। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৭ মিনিট নাগাদ মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল থেকে সর্বপ্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।চাঁদের ছায়া উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে পূর্ণগ্রাস দেখা যাবে।ভারত বা ভারতের কোনও প্রতিবেশী দেশ থেকে এই গ্রহণ দেখার সম্ভাবনা নেই।পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক মেক্সিকো, উত্তর আমেরিকা, কানাডা, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাঞ্চল, ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল এবং আয়ারল্যান্ডে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গত সাত বছরে দ্বিতীয়বার এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। চাঁদ ও
পৃথিবীর দূরত্ব অনেকটাই কমবে সেদিন।কখন সূর্যের পূর্ণগ্রাস হয়? চন্দ্রগ্রহণের মতো সূর্যের পূর্ণগ্রাস দেখতে
পাওয়াটা সহজ বিষয় নয়। ১৮ মাস পর পর একটি করে পূর্ণগ্রাস হয় সূর্যের।সেটাই প্রকৃতির নিয়ম।যখন সূর্যের মুখ অর্থাৎ চাকতির সবটা ঢেকে দেয় চাঁদ।সেই চাকতির বাইরে থাকে শুধুমাত্র সূর্যের বায়ুমণ্ডল বা করোনা।কেবল সেটাই দৃশ্যমান থাকে।দিনের বেলা স্বল্পক্ষণের জন্য অন্ধকার নামে।সেই সময় আকাশের তারা ও গ্রহ দেখা যায়।যা এক বিরল দৃশ্য। সূর্যের কখনও আংশিক গ্রাস হয়, কখনও পূর্ণগ্রাস,আবার কখনও বলয়গ্রাস বা ‘রিং অফ ফায়ার’।আর যদি তিনটেই পরপর ঘটতে থাকে তাহলে তাকে বলে হাইব্রিড বা সংকর সূর্যগ্রহণ।